প্রথমবার সমুদ্র সৈকতের বিচে খেলবেন বক্সাররা। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে সিনিয়রদের বিচ বক্সিং প্রতিযোগিতা। গতকাল বক্সিং ফেডারেশনের নতুন সভাপতি ও বাংলাদেশ আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে বরণ অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন- সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন। এ সময় ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শেখ মো. মারুফ হাসান, নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ এবং আনসারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসানসহ ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশ-বিদেশে ঘাম এবং রক্ত ঝরিয়েই বক্সাররা সাফল্য আনেন বলেই জানান বক্সিংয়ের নতুন সভাপতি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য খেলায় শুধু ঘাম ঝরাতে হয়। বক্সিংয়ে ঘাম এবং রক্ত-দুটোই ঝরাতে হয়। আগামীতে আমরা যুগোপযোগী সরঞ্জাম এনে বক্সারদের মান বাড়াতে চেষ্টা করবো।
যাতে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য বয়ে আনতে পারেন বক্সাররা।’ তিনি যোগ করেন, ‘আগামী বছরের জানুয়ারিতে সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো সিনিয়র বিচ বক্সিং প্রতিযোগিতা হবে। এছাড়া একই মাসে আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্কুল বক্সিং প্রতিযোগিতায়ও আমরা অংশ নেবো। এছাড়া আগামী বছর অনুষ্ঠেয় সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে আমরা স্বর্ণপদক জয়ের লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ করছি।’ আনসারের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান শামীম বলেন, ‘এপ্রিলে শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে ১৩৩টি স্বর্ণপদক জিতে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আনসার। ক্রীড়াবিদদের দক্ষতা বাড়াতে সফিপুর আনসার একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি অত্যাধুনিক ‘বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস কমপ্লেক্স’ তৈরির কাজ চলছে।’ এদিকে রোববার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বক্সিং ফেডারেশনের নতুন সভাপতি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। দেশে বক্সিং খেলাকে জনপ্রিয় ও এর ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের বার্ষিক বাজেট বৃদ্ধিসহ আগামী ১০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়ে নবনিযুক্ত সভাপতিকে নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।