চার বছরের পরিবর্তে প্রতি দুই বছরে একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের যে পরিকল্পনা করছে ফিফা, তার পক্ষে মত দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এক বিবৃতিতে গতকাল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায় তারা। পুরুষ ফুটবলে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে চারটি দল সরাসরি এবং একটি দল আন্ত:মহাদেশীয় প্লে অফের মাধ্যমে সুযোগ পাবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বার্ষিক সূচি নতুন করে সাজানোর অংশ হিসেবে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার চালাচ্ছে ফিফা। মাঝেমধ্যেই এ বিষয়ে বলতে শোনা যাচ্ছে ফিফার বিশ্ব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গারকে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফা ও লাতিন আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল অবশ্য সরাসরি এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছে। এমনকি বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন। আর কনমেবলের মতে, এমন পরিকল্পনা অযৌক্তিক এবং ফুটবলের আন্তর্জাতিক সূচির ওপর ‘অনেক বড় বোঝার’ সামিল। আর উত্তর ও মধ্য আমেরিকার এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফ জানিয়েছে, বিষয়টি তারা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে।
নিজেদের জাতীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গেই শুধু নয়, ফিফার সব সদস্যের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান কোচ-খেলোয়াড়দের মাঝে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। সাবেক দুই ফুটবলার ব্রাজিলের রোনালদো ও ডেনমার্কের সাবেক তারকা গোলরক্ষক পিটার স্মাইকেলের দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ ভাবনা ভালো লেগেছে। আর লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ও ওয়েলসের রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা ওয়ার্ল্ড লীগ ফোরামও ফিফার প্রস্তাবের বিপক্ষে।