বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় হত্যার শিকার আপন ভাই, ভাবি, ভাইপো ও ভাইজি। আপন ভাই রায়হানুল কুপিয়ে হত্যা করে চারজনকে।
প্রসঙ্গত, কলারোয়া উপজেলার খলিসা গ্রামে ছোট ভাই রায়হানুল গত বছরের ১৪ই অক্টোবর রাতে বড় ভাই মো. শাহীনুর রহমান (৪০), ভাবি সাবিনা খাতুন (৩০), তাদের ছেলে ব্রজবক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন মাহী (১০) ও মেয়ে একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তাসমিন সুলতানাকে (৮) কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাওয়ায়। পরদিন ১৫ই অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে হাত ও পা বেঁধে তাদেরকে একে একে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ছিল। সাতক্ষীরার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে বিচারক মফিজুর রহমান নির্ধারিত দিনে ফাঁসির এ রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল লতিফ বলেন, মামলার ১৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, রায়হানুলের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, জব্দ তালিকা ও বাদীর দায়েরকৃত এজাহার সাক্ষ্য প্রদানকালে হুবহু মিল থাকায় আসামি রায়হানুলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ মামলার একমাত্র আসামি রায়হানুলকে বিচারক ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় প্রদান করেন।
হত্যাকারী রায়হানুল ওই পরিবারের ৪ মাসের শিশু মারিয়াকে হত্যা না করে লাশের পাশে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহত শাহীনুরের শাশুড়ি কলারোয়া উপজেলার উফাপুর গ্রামের রাশেদ গাজীর স্ত্রী ময়না খাতুন বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় ১৫ই অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।