সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইজ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিলে হেনরির বিরুদ্ধে। ওই হত্যা মামলা তদন্তাধীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, অ্যারিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আহŸান জানাচ্ছেন একজন প্রসিকিউটর। প্রেসিডেন্ট মোইজ হত্যা মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন আসামী জোসেফ ফেলিক্স বাদিলো’র সঙ্গে কি সম্পর্ক তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হেনরিকে। এখন পর্যন্ত যেসব রেকর্ডপত্র পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টকে হত্যার কয়েক ঘন্টা পর জোসেফ ফেলিক্স বাদিলোর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি। এ দাবি করেছেন প্রসিকিউশন থেকে।
গত ৭ই জুলাই নিজের বাড়িতে হত্যা করা হয় প্রেসিডেন্ট মোইজকে।
রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্সে নিজের বাড়িতে অস্ত্রধারীরা প্রবেশ করে গুলি করে হত্যা করে তাকে। তার মৃত্যুতে দরিদ্র এই দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে। এমনিতেই এক মাস আগে দেশটির দক্ষিণে মারাত্মক ভূমিকম্প হয়। এর সঙ্গে রাজনীতি চলতে থাকে জটিলতার পথে। সোমবার প্রধান প্রসিকিউটর বেড-ফোর্ড ক্লাউডিকে বরখাস্ত করে একটি চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী হেনরি। এতে তিনি প্রকিসিউটরের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রশাসনিক অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেন। তবে কি সেই অপরাধ তার বিস্তারিত জানানো হয়নি। প্রসিকিউটর ক্লাউডিকে বরখাস্ত করে তার পদে একজনকে মনোনয়নও দিয়ে দেন।
কিন্তু মঙ্গলবার নিজের পদে আসীন এমন অবস্থান নিয়ে আদালতে হাজির জন প্রধান প্রসিকিউটর ক্লাউডি। তিনি বিচারকের কাছে আবেদন করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোইজকে হত্যায় প্রধানমন্ত্রী জড়িত কিনা তা তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, এই মামলায় তিনি ‘সন্দেহজনকভাবে’ জড়িত। হাইতি বিষয়ে জানেন এমন সূত্রগুলো বলেছেন, প্রধান প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করার এক্তিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। অন্যদিকে বেশ কিছু হুমকি পাওয়ার পর প্রসিকিউটর ক্লাইডিকে সুরক্ষা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী।
প্রসিকিউটররা বলেছেন, ফোন অপারেটর ডিজিসেল থেকে পাওয়া রেকর্ড অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট মোইজকে হত্যার পর পরই কমপক্ষে দু’বার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী হেনরি এবং আসামী বাদিলো। জিওলোকেশন ডাটায়ও দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর বাদিলো ছিল পলাতক। অজ্ঞাত স্থান থেকে সে ফোনে কথা বলেছিল। তবে এই অপরাধ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেনি সে। এর আগে স্থানীয় মিডিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হেনরি বলেছিলেন যে, তিনি বাদিলোকে চেনেন। তিনি তার পক্ষ নিয়েছিলেন। কারণ, তিনি মনে করেননি যে বাদিলো এই হত্যায় জড়িত।