× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাদল রায়ের নামে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজের মধ্যে রয়েছে প্রেসবক্সও। একটি আধুনিক ও উন্নত ফুটবল স্টেডিয়ামের অন্যতম অংশ প্রেসবক্স। সংস্কারের পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের নামকরণ হবে প্রয়াত ফুটবলার বাদল রায়ের নামে। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এই ঘোষণা দেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাদল দা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি ফুটবল ছাড়াও আমাদের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ অনেক জায়গায় আন্তরিকতার সঙ্গে সময় এবং মেধা দিয়েছেন। তার মতো ব্যক্তিত্বের স্মরণে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি স্থাপনার নামকরণ এসেছে।’ ভিআইপি বক্স, গ্যালারি আরও অনেক অংশ বাদ রেখে প্রেসবক্সকে বেছে নেয়ার পেছনে কারণ ব্যাখায় মন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্টেডিয়ামের অন্যতম সৌন্দর্য্য প্রেসবক্স।
বাদল দা’র সঙ্গে সাংবাদিকদের অনেক সখ্যতা ছিল। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা বাদল দা’র নামে প্রেসবক্স নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ক্রীড়া সাংবাদিক, সংগঠকরা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ক্রীড়া সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল প্রেসবক্সের নামকরণের পাশাপাশি মিডিয়া গেটের নামও বাদল রায়ের নামে করার অনুরোধ জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে। বাদল রায় প্রেসবক্স না বাদল রায় মিডিয়া বক্স এটি পরবর্তীতে চূড়ান্ত করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয়। বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের বাদলের প্রতি এই ভাবনা এবং উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই। বাদল সব সময় ফুটবলের সঙ্গেই ছিল। তার নামটি ফুটবলের প্রধান স্টেডিয়ামে থাকবে এটি ভালো লাগছে।’ তিনি বলেন, ‘বাদল তৃণমূলে কাজ করতেন। বাদলের নামে কোনো স্টেডিয়াম বা স্থাপনার নামকরণ হলে সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করলে আরও ভালো লাগবে।’ বাদল রায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনীতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৮ সালে তিনি মোহামেডানে খেলা শুরু করেন। এই সাদা কালো জার্সিতেই তিনি অবসরে যান। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডান ক্লাব ও ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমৃত্যু। বাদলের রাজনৈতিক ক্যারিয়াও বর্ণাঢ্য। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে দাউদকান্দিতে নির্বাচন করেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮১ সালে ডাকসুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর