× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবাধিকার ইস্যুতে তালেবানদের সময় দেয়া উচিত, সাহায্য ছাড়া বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি হবে- ইমরান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো তালোবানদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তিনি আরো বলেন, মানবাধিকার ইস্যুতে তালেবানদের সময় দেয়া উচিত। তবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া সেখানে বিশৃংখল এক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন ইমরান খান। তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন। ইমরান খানের ব্যক্তিগত বাসভবন ইসলামাবাদের বানিগালা থেকে বুধবার ওই সাক্ষাতকার ধারণ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, নারীর অধিকার এবং সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার মতো ইস্যুগুলোতে তালেবানদের উৎসাহিত করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের কঠিন সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করেছেন ইমরান।
বলেছেন, তাদের সঙ্গে এ সম্পর্ক পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়কর। এখন তিনি আফগানিস্তানের নতুন নেতাদের সঙ্গে অধিক আশাবাদী একটি পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন বলে জানান।
১৫ই আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। তারপর এই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাতকার দিলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, তালেবানরা পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা যদি এখন সবার অংশগ্রহণমূলক সরকারের দিকে অগ্রসর হয়, সব অংশকে একত্রিত করে, তাহলে ৪০ বছর পরে শান্তি আসতে পারে দেশটিতে। কিন্তু তারা যদি ভুলপথে চলে, যা নিয়ে আমরা বাস্তবেই উদ্বিগ্ন, তাহলে আফগানিস্তানে বিশৃংখল এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে এক ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট, বিপুল শরণার্থী সঙ্কট।
ইমরান খান আরো জানান, সঙ্কট এড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছে তালেবানরা। আন্তর্জাতিক সাহায্য পেলে তা ব্যবহার করে তালেবানরা বৈধতার সঠিক পথে অগ্রসর হতে পারবে। তবে তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, বাইরের শক্তি দিয়ে আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তার ভাষায়, দেশটির জনগণ আফগানিস্তানে কারো হাতের খেলনা সরকারকে সমর্থন করে না। তাই যার যার অবস্থানে বসে যদি আমরা মনে করি তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তাহলে আমাদের উচিত তাদেরকে উৎসাহিত করা। কারণ, আফগানিস্তানে বর্তমান সরকার পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করতে পারছে যে, আন্তর্জাতিক সাহায্য, ত্রাণ ছাড়া এই সঙ্কট বন্ধে সক্ষম নন তারা। তাই আমাদের উচিত তাদেরকে সঠিক পথে ঠেলে দেয়া।
এমনিতেই তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার আগেই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ, দরিদ্রতা, খরার পর খরা, অর্থনৈতিক অবনমন এবং করোনা মহামারি সেখানকার পরিস্থিতিকে অতি করুণ করে তুলেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এক কোটি ৮০ লাখ আফগান নাগরিক, যারা কিনা দেশটির প্রায় অর্ধেক, তাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ প্রয়োজন। এমন অবস্থায় তালেবানরা দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে যারা সমালোচনা করেন, তাদেরকে ইমরান খান স্মরণ করিয়ে দেন ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা প্রত্যাহারের সময়ের কথা। ওই সময় আফগানিস্তানে এক রক্ত¯্রােত বয়ে গিয়েছিল। ইমরান খান বলেন, তিনি মনে করেছিলেন আফগানিস্তান থেকে এবার মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সেখানে একই রকম রক্ত প্রবাহিত হবে। একই রকম হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠবে বিভিন্ন গোষ্ঠী। ইমরান খান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো জানিয়েছিল, তালেবানরা পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে না। যদি তারা সামরিক শক্তির ওপর ভর করে আফগানিস্তান দখলের চেষ্টা করে, তাহলে দীর্ঘস্থায়ী এক গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে আতঙ্কে ছিলাম। কারণ, তাতে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। কিন্তু তা হয়নি। তাই এখন বৈধ একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য তালেবানদের সময় দেয়া উচিত বিশ্ববাসীর।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালেবানরা তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তারা মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নারীর অধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাংবাদিকদের তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তালেবানরা যে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছে, তাতে কোনো নারীর স্থান হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদেরকে ঘরের ভিতরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে। তালেবান বিরোধী বিক্ষোভ এবং নাগরিক অধিকারের আন্দোলনকারীদের দমন করা হয়েছে সহিংস উপায়ে। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করে বেদম প্রহারের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এসব ইস্যুতে ইমরান খান বলেন, বাইরের দেশ থেকে কেউ আফগান নারীদের অধিকার দেবে এটা চিন্তা করা ভুল। আফগান নারীরা শক্তিশালী। তাদেরকে সময় দিন। তারা তাদের অধিকার পাবেন। একটি সমাজে নিজেদের জীবনের চাওয়া পাওয়া পূরণের সক্ষমতা থাকা উচিত নারীদের। পাকিস্তানে আমরা যা করেছি, তাহলো- আমরা দরিদ্র পরিবারগুলোকে বৃত্তি দিয়েছি, যাতে তারা মেয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠায়। কারণ, আমরা মনে করেছি যদি মেয়েশিশু পড়াশোনা করে, তারা তাদের অধিকার পাবে।
নারী অধিকার সমুন্নত রাখায় তেমন কোনো অগ্রগতি করতে পারবে তালেবানরা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকে এমনটা আশা করতে পারেন না। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকা তালেবানরা নারীদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে ব্যবহার করেছে। এর ফলে তারা সহিংসতার শিকারে পরিণত হয়েছেন। জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে তারা নারীদের নিষিদ্ধ করেছিল। বাড়ির কোনো সঙ্গীছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া বন্ধ ছিল নারীদের। জোরপূর্বক তাদের পুরো শরীর ঢেকে রাখতে বাধ্য করা হতো। তবে নতুন তালেবান সরকার আলাদা ক্লাসরুমে অথবা একই ক্লাসরুমে মাঝখানে পর্দা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের আলাদা করে পড়ালেখার অনুমতি দিয়েছে। নারী শিক্ষার্থী, লেকচারার, কর্মচারী সবাইকে বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নির্দেশ দিয়েছে। তালেবানদের এক কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন, মেয়েরা ক্রিকেট এবং অন্য খেলাধুলা করার অনুমতি পাবেন না। নারী বিক্ষোভকারীদের ওপর চাবুক এবং লাঠি ব্যবহার করেছে তালেবানরা। সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান মিশেলে ব্যাচেলেট বলেছেন, তালেবানরা নারীর অধিকার সমুন্নত রাখার বিপরীতে গত তিন সপ্তাহে সেখানে জনসমক্ষে নারীদের অগ্রযাত্রাকে বাইরে রাখা হয়েছে।
ইমরান খান এর আগে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ন্যাটো জোটের বাইরে একটি বড় মিত্র পাকিস্তান হওয়া সত্ত্বেও তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। ইমরান খান বলেন, আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুবই ব্যস্ত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু একটি ফোনকলের ওপর নির্ভর করে না। এজন্য প্রয়োজন বহুমাত্রিক সম্পর্ক।
ইমরান খান বলেন, এ জন্যই ২০ বছরের আফগান যুদ্ধ শেষ হলেও পাকিস্তান উল্লাস করতে পারেনি। তার ভাষায়, আমরা যেন একটা ভাড়াটে বন্দুক। আফগানিস্তান যুদ্ধ জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দুক ব্যবহার করেছে। কিন্তু আমরা কখনোই সেই বন্দুক হবো না। ইমরান খান বলেন, তিনি বার বার মার্কিন কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন এই বলে যে, আফগানিস্তানে সামরিক উপায়ে লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তারা সেখানে আটকা পড়ে যাবে। তিনি বলেছেন, তালেবানদের সঙ্গে রাজনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা করা উচিত- এ ধারণার ওপর জোর দিয়েছেন। আর সেটা করতে হবে আফগানিস্তানে অবস্থানকালে। সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরে নয়।
তালেবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তালেবানরা যখন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তখন তাদেরকে পাকিস্তান সমর্থন দিতো বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু এ অভিযোগ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়ার উদ্দেশে তালেবান শীর্ষ কর্মকর্তা মোল্লা বারাদারকে জেল থেকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে এই নেতাকে তালেবানদের নতুন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির শুনানিতে বলেছেন, পাকিস্তানের এমন কিছু স্বার্থ আছে, যা আমাদের সঙ্গে সংঘাতময়। পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা তালেবান সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে। এটা এমন একটি দেশ, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। তবে এ ধরনের মন্তব্যকে ইমরান খান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। পাকিস্তানের পরিণতি আফগানিস্তানের জন্যও প্রযোজ্য। আফগানিস্তানের সহিংসতা, রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা এবং মানবিক সঙ্কট এসবই সীমান্ত অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ে। ইমরান খানের দৃষ্টিতে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ছিল পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়। ইমরান খানের মতে, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করার কারণে মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলো সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানে। তাতে হাজার হাজার পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। ইমরান খান বলেন, এর কারণ একটাই। তা হলো আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রে পরিণত হয়েছিলাম। আফগানিস্তানে যুদ্ধের মিত্র হয়েছিলাম। এক সময়ে ৫০টি মিলিট্যান্ড গ্রুপ পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মনে রাখতে হবে যে, তারা পাকিস্তানে ৪৮০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা সম্পর্কে ইমরান বলেন, একটি দেশ তার মিত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে তারা নিরাপদ স্বর্গে আছে- এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র বার বার করেছে। এ অভিযোগ জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান খান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই নিরাপদ স্বর্গ কি? আফগান সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানি এলাকাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন কড়া নজরদারিতে রেখেছিল। তারাই নিশ্চিত করে বলতে পারবে, কোথায় নিরাপদ স্বর্গ ছিল। ইমরান খান আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাল না মিলিয়ে পাকিস্তানের সাবেক সরকারগুলো এসব অভিযোগের জন্য নিজেদের যেন উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান নিজে যখন আভ্যন্তরীণভাবে পাকিস্তানি তালেবানদের হামলার শিকার হচ্ছে, তখন আফগানিস্তানের তালেবানদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলায় অংশ নেয়ার মতো অবস্থায় পাকিস্তান ছিল কিনা? পাকিস্তানি তালেবানরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছিল। ইমরান খান বলেন, অন্যের যুদ্ধের জন্য তিনি তো তার নিজের দেশকে ধ্বংস করে দিতে পারেন না।
ইমরান খান সাক্ষাতকারে আরো বলেন, আফগানিস্তানের তালেবানরা আমাদের ওপর আক্রমণ করছিল না। আমি মনে করি, যদি আমি ওই সময় ক্ষমতায় থাকতাম, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে বলতাম যে- আমরা তালেবানদের বিরুদ্ধে সামরিক উপায় অবলম্বন করতে যাচ্ছি না। কারণ, প্রথমেই আমাকে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখতে হবে। আমার দায়িত্ব আমার দেশের মানুষের সেবা করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর