× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না’ সংসদে এমন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চান হারুন

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানের দোসর হিসাবে ছিলেন’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে সংসদে দেয়া এমন বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মাঠে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। তাকে নিয়ে যে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন তা এক্সপাঞ্জ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ বিল, ২০২১’ ওপর বিরোধী দলীয় সাংসদের জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় তিনি এ দাবি করেন। অবশ্য এক্সপাঞ্জ দাবির প্রশ্নে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কোনও মন্তব্য করেননি।

এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে যুগের পরে যুগ ধরে ইতিহাস বিকৃতির যে চর্চা চলছে, তা এই আইনের মাধ্যমে রোধ করতে পারবো কিনা? কারণ এই সংসদে আসার পরে দেখেছি বাংলাদেশের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা যে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন; যে উনি মুক্তিযোদ্ধাই না। উনি পাকিস্তানের দোসর। এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যিনি ওনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, তিনি জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন।
উনি প্রথম, তৃতীয় ও অষ্টম ব্যাটালিয়ানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সরাসরি মাঠে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার সময় যে সেক্টর কমান্ডাররা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে করেছেন তার মধ্যে জেড ফোর্সে ২৮৭ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এই সেক্টরের দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন। সিপাহী হামিদুর রহমান ও ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ। হারুন বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, পাকিস্তানের দোসর এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। এগুলো অসত্য, তা যদি আপনি এক্সপাঞ্জ না করেন; তাহলে আমাদের কথা বলে লাভ কী? জাতীয় আর্কাইভে মুক্তিযুদ্ধের দলিল আছে। সেখানে কি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লিপিবদ্ধ নেই? তাহলে আজকে এসব কথা কেন বলছে?

পরে বিলের সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন বলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তার বক্তব্যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল, সেখানে আওয়ামী লীগও ছিল। মানিক মিয়া এভিনিউতে যে জানাজা হয়েছিল, তাতে সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। শোক প্রস্তাবের ওপর সংসদে দীর্ঘ আলোচনায় তারা অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো প্রসেডিংসের মধ্যে রয়েছে। আমার কথায় যদি অপ্রাসঙ্গিক থাকে তা এক্সপাঞ্জ করুন। তিনি বলেন, কারও যদি অপমৃত্যু হয় তাহলে তার ময়না তদন্ত লাগে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। সামরিক আদালতে বিচারও হয়েছে। এটা অসত্য কিছু নয়। আজকে জেনারেল এরশাদ বেঁচে থাকলে তিনি লজ্জা পেতেন। লজ্জা পেয়ে মুখ ডাকতেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর