দেশের দুই পুঁজিবাজার থেকে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানি নিয়ে গঠন করা ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) প্ল্যাটফর্মকে বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে ওটিসিতে থাকা ৭০টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করা হবে। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টি কোম্পানিকে এসএমই বোর্ডে এবং ১৮টিকে অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে এসএমই বোর্ডে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ইলেকট্রনিক (ডিমেট) করতে হবে।
বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের রক্ষার্থে পুঁজিবাজার থেকে ওটিসি মার্কেট আউট করে দিচ্ছি। এ মার্কেটটিতে খারাপ খারাপ কোম্পানিগুলো অবস্থান করছে। যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, উৎপাদনে যাবে না এগুলোকে একেবারে মার্কেট থেকে আউট করে দেবো। বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিয়ে কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে দেবো।
যেসব কোম্পানি উৎপাদনে যাবে, তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে এটিবি ও এসএমই বোর্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে কোম্পানিগুলোর কিভাবে লেনদেন হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে এবং ওটিসি থেকে দুই বোর্ডে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগামী এক মাসের মধ্যে ডিমেট বা ইলেক্ট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর করতে হবে।
উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগজের শেয়ার রাখা, নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়া, লভ্যাংশ প্রদান ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা ৬৫টির বেশি কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ২০০৯ সালে এই ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়।
ওটিসিতে পাঠানোর পর ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর, কোম্পানিকে মুনাফায় ফিরিয়ে লভ্যাংশ বিতরণ করে মূল মার্কেটে ফিরেছে ইউসিবিএল ব্যাংক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালি পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
সর্বশেষ চারটি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে নিয়ে আসা হয়। এগুলো হচ্ছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মনস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড।