× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এটা পলিটিক্যাল বক্তব্য, সাবধান হওয়া উচিত’

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার

‘এটা আমার পলিটিক্যাল বক্তব্য ছিল। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে আমার আরও সাবধান হওয়া উচিত।’- সিলেট আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কয়েকদিন আগে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ মন্তব্য করেছেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কেবল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। অন্যদিকে কর্মী পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। নগরীর ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা এখন সরব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা নানা কথা বলছেন। ৬ই সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় ফোরামে সিলেট আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নানা কথা বলেন। সিলেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমানের নাম মুছে দেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চামড়াকে গণ্ডারের চামড়ার সঙ্গে তুলনা করেন। তার এই বক্তব্যের পর সিলেট আওয়ামী লীগে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে আসাদের বক্তব্যের পর ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। গতকাল মেয়র আরিফের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রশ্ন ওঠে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। এ সময় মেয়র আরিফ তার বক্তব্যকে নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান। বলেন, ‘আমি বক্তব্য দিয়েছিলাম আমার দলীয় ফোরামে। সেখানে আমি আমার কথা বলেছি। এটাকে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা উচিত না। আমি আরও সাবধান হলাম।’ এদিকে আরিফের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিলেট আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী নীরব থাকায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন তার ফেসবুক আইডিতে আকার-ইঙ্গিতে প্রসঙ্গ তুললেও তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। এজন্য দলের পক্ষে অধ্যাপক জাকিরের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডের বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর এই বক্তব্যের সরাসরি ‘প্রটেক্ট’ দিতে নারাজ। তাদের মতে; মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের মন্ত্রী পরিবারের নজরে রয়েছেন। কারণ মন্ত্রী পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি উন্নয়ন করছেন। সুতরাং মেয়রকে এসব কথার উত্তর দিতে হবে মন্ত্রীর সামনেই। এ কারণে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সিলেটে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। মন্ত্রীর সামনেই তারা আরিফের মুখ থেকে বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইবেন বলে জানিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা। সিলেট আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করছেন। তিনি প্রথম দফা নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফের মেয়র নির্বাচিত হন। পরপর দুই বার তিনি পরাজিত করেছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক জনপ্রিয় মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে। আওয়ামী লীগের জমানায়ই তিনি মেয়র হয়েছেন। সুতরাং তিনি যে উন্নয়ন করছেন কার টাকায় করছেন? এদিকে গতকাল বাজেট বক্তৃতায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উন্নয়নের কথাও স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ সিলেটের মন্ত্রীদ্বয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি সিলেটে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ একধাপ এগিয়ে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ তলাবিশিষ্ট একটি কমার্শিয়াল হাব নির্মাণের কথা জানান তিনি। আরিফের শেষ কথা; আমি মেয়র হিসেবে সবার। কিন্তু রাজনৈতিক ফোরামে আমার কথা এটি একান্তই আমার। এটিকে নিয়ে রাজনীতি করে সিলেটের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না করার অনুরোধ জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর