ব্যস্ততার কারনে আমরা দুজনই দিনের বেলায় বাইরে থাকি। দুজনেই অভিনয়ের মানুষ, তাই শুটিংয়ের কারণে এটি মেনে নিতে হচ্ছে। তবে আমাদের বোঝাপড়ায় কোনো কমতি নেই। দাম্পত্য জীবন নিয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। অভিনেতা এফএস নাঈম ও নাদিয়া শোবিজে ক্লিন ইমেজের দম্পতি হিসেবেই পরিচিত। শোবিজের অনেক দম্পতিই একসঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু আপনাদের একসঙ্গে তেমন দেখা যায় না কেন? উত্তরে তিনি বলেন, এটি নির্মাতাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা দুজন কাউকেই বলি না আমাদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য।
তাই বলে আমরা বসে নেই। নিয়মিত কাজ করছি। এদিকে ঈদের আগ মহূর্তে এই অভিনেত্রী উড়াল দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে। সেখানে নাদিয়ার বাবা, মা ও ছোট বোন থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি। অবশেষে টানা প্রায় দুই মাস আমেরিকায় দারুণ সময় কাটান নাদিয়া। তবে দেশে ফিরে তিনি এখন ব্যস্ত আছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটক নিয়ে। তার হাতে আছে ‘বউ বিরোধ’, ‘কর্পোরেট ভালোবাসা, ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি, ‘গোলমাল, ‘মধুমতি ও ‘মধুপুর’ শিরোনামের ধারাবাহিকগুলো। প্রতিটি নাটকে এ অভিনেত্রী ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। নাদিয়া অভিনয় ক্যারিয়ারে পার করেছেন দীর্ঘ সময়। নিজেকে মেলে ধরেছেন নানান চরিত্রে। টিভি নাটকে তার গ্রহযোগ্যতাও অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তেমন দেখা যায় না তাকে। এ নিয়ে নাদিয়ার মন্তব্য কী? উত্তরে তিনি বলেন. এটা ঠিক চ্যালেঞ্জিং কাজের সংখ্যা আমার কম। এর কারণও আছে। গল্প তেমন না হলে তেমন কাজ করব কীভাবে? আমরা কথায় কথায় বলি, দর্শকের চাহিদার কথা। তবে এর সঙ্গে আমি একমত নই। আমরা দর্শকদের যা দেব তারা সেটিই উপভোগ করবেন। এখন কীভাবে দেব সেটি শিল্পী-নির্মাতার ওপর নির্ভর করে। ক্যারিয়ারে এই সময়ে এসে আমিও চাই ভিন্ন কিছু কাজ করতে। যেগুলো দর্শকের কাছে আমাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। বর্তমান শোবিজ নিয়েও কথা বলেন এই গ্ল্যামারকন্যা। তার ভাষ্য, এখানে এখন অন্য পেশার লোকজনও কাজ করে। তাই অনেক সময় প্রকৃত শিল্পীদের মূল্যায়ন হয় না।