বড় জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের যাত্রা শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে লাইপজিগকে ৬-৩ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। বিধ্বংসী ম্যাচে সিটিজেনদের হয়ে শুভ সূচনাটা করেছিলেন নাথান বেঞ্জামিন আকে। ডাচ ডিফেন্ডারের ক্যারিয়ারে এটিই ছিল প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগের গোল। দলের বড় জয় এবং নিজের প্রথম গোলের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি নাথানের। ম্যাচশেষেই পেয়েছেন পিতার মৃত্যুর সংবাদ।
পিতৃবিয়োগের সংবাদটি নিজেই দিয়েছেন নাথান। বেশকিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তার বাবা ময়জে আকে। তীব্র মানসিক চাপ নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন নাথান।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় কেটেছে। আমার বাবা খুব অসুস্থ ছিলেন এবং আর কোনো চিকিৎসা সম্ভব ছিল না। আমার বাগদত্তা, পরিবার এবং বন্ধুদের পাশে পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
নাথান বলেন, ‘কঠিন সময়ের পর গতকাল (বুধবার) চ্যাম্পিয়নস লীগে আমার প্রথম গোল করেছি। এর কয়েক মিনিট পরই তিনি শান্তিতে মারা যান। এ সময় আমার মা ও ভাই বাবার পাশে ছিল।’
নিজের প্রথম গোলটি বাবা ময়জে আকেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি। নাথান বলেন, ‘হয়তো তিনি (পিতা) আমার খেলা দেখে সবসময়ই খুশি হবেন এবং গর্বিত বোধ করবেন। আমি জানি, আপনি সব সময় আমার সঙ্গে আছেন, সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবেন এবং এই গোলটি আপনার জন্য ছিল, বাবা। ’
নাথান আকের বাবা ময়জে আকে ছিলেন আইভোরি কোস্টের এবং মাতা ইনেকে টেল্ডার ডাচ। বিয়ের পর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নেদারল্যান্ডসে চলে আসেন ময়জে আকে।
২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলে অভিষেক হয় নাথান আকের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত ২২টি ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
২০১২ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চেলসির হয়ে অভিষেক হয় নাথানের। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। দীর্ঘ পাঁচ বছরে চেলসির হয়ে মাঠে নেমেছেন মাত্র ৭টি ম্যাচে। এরপর গত মৌসুমে এএফসি বোর্নমাউথ থেকে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। এখানে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছেন নাথান।