নব্বই দশকে একবার দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল ফিফা। গত মার্চে বিষয়টি নতুন করে সামনে আনেন ফিফার ফুটবল উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ও আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। প্রস্তাবটির পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে ফুটবল সংস্থাগুলোর নানা মত। এমন অবস্থায় ফিফা যাচাই করে নিলো দর্শকদের চাহিদা।
দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেছিল ফিফা। মে মাসের করা সেই জরিপে উঠে এসেছে দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ চায় দুই তৃতীয়াংশ ফুটবলপ্রেমী।
ভোট আয়োজনের প্রতিষ্ঠান ‘ইউ গভ’র জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ১৫ হাজার জন। ফিফা জানিয়েছে, এরমধ্যে ৫৫ শতাংশ ভোটারই বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় চার বছর থেকে কমিয়ে আনার পক্ষে। ৩০ শতাংশ ভোটার দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
প্রতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন ১১ শতাংশ এবং ১৪ শতাংশ তিন বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দেন।
এখানেই শেষ নয়। দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনে বদ্ধ পরিকর ফিফা আরও বড় পর্যায়ে জরিপটি চালাবে। ১০০’র বেশি দেশে ১ লাখ লোকের মধ্যে ভোটাভুটি আয়োজনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে ফিফা।
মূলত বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশনগুলোর কল্যানার্থেই এমন প্রস্তাব রেখেছে ফিফা। দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করলে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। তাতে আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর ফুটবল ফেডারেশনের লাভ হবে। কারণ এসব মহাদেশের বেশির ভাগ ফেডারেশন আর্থিকভাবে ফিফার ওপর বেশি নির্ভরশীল।
এদিকে ফিফার পক্ষে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দলগুলো। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাও দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চারটি দেশের ফুটবল সংস্থার সভাপতিগণ সই করা চিঠিতে বিশ্বকাপ দুই বছর পর আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, অ্যাসোসিয়েশন অব মালদ্বীপের সভাপতি বাসাম আদেল জলিল, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কারসা তিসেরাং শেরপা ও ফুটবল ফেডারেশন অব শ্রীলঙ্কার সভাপতি জাসওয়ার উমর।