টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইমাম সমিতির সদস্য না হয়েও সদস্য পদ থেকে ইমামকে বহিষ্কারের নামে কুৎসা রটানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল জুমার নামাজ শেষে উপজেলার বসারচালা বাজার দারুসসালাম জামে মসজিদের সামনে স্থানীয় মুসুল্লিরা এ প্রতিবাদ জানায়। মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল কদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আনিছুর রহমান, সাড়াশিয়া বাসারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস শাওন, সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ জালাল উদ্দিন, মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আনিছুর রহমান বলেন, ১৩ বছর ধরে আমি এই মসজিদের ইমামতি করছি। গত ৩১শে আগস্ট জানতে পারলাম আমি নাকি ইমাম সমিতির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার। আসলে আমি ইমাম সমিতিতে ভর্তি হইনি এবং আমি কোনো সদস্যও না। অযথা আমার নামে কুৎসা রটিয়েছে, আমি নাকি বহিষ্কৃত। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল কদ্দুস মিয়া বলেন, ১২৬ ঘর লোক নিয়ে আমাদের বিশাল এক সমাজ।
মসজিদের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান এই মসজিদ ঘেঁষে বাজারে তার একটি ঘরের নির্মাণকাজের সময় মসজিদে সাড়ে ৮ হাজার টাকার বালি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এ ছাড়া একটি ধর্ম সভায় তিনি ২ হাজার টাকা অনুদান দেন। সেই টাকা দেয়া না দেয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়। তারপর থেকে প্রায় ৩ মাস হলো তারা ১৩ ঘর লোকজন মসজিদে আসেন না। এখান থেকে চলে গিয়ে তারাই হুজুরকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। এতে সমজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস শাওন বলেন, আতোয়ার রহমান এই সমাজের বা মসজিদের কোনো সদস্য না। তারপরও তিনি মসজিদের উপদেষ্টা দাবি করে ইমাম সাহেবকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এটা ঠিক না। ওই মসজিদের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত জুন মাসে কমিটি হওয়ার পর সাবেক সভাপতি মসজিদের ৮৬ হাজার টাকার ক্যাশ ও রেজুলেশন খাতাসহ কোনো কিছুই আমাদের বুঝিয়ে দেননি এবং মসজিদেও আসেন না। এনিয়ে সমাজের সদস্যদের মধ্যে কানাকানি চলছে।