× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ / বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, শুক্রবার, ৮:৫২ অপরাহ্ন

বড় বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, অসহিষ্ণুতা নয় আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করা হবে।
গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বস্তরের দুর্নীতিকে প্রতিকার করা জরুরি। বড় বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। দুর্নীতি একটি ব্যাধি। সমাজে দুর্নীতি আছে এবং আমরা এটি নিয়ে চিন্তিত।’ অসহিষ্ণুতা নয় আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার প্রসারে সরকার আন্তরিক এবং সেজন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।’ অটোমেশন বা যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তবে এটি সত্য যে মেশিনের পিছনে যে মানুষ সেখানে আমাদের ঘাটতি আছে। হাইটেক পার্কে যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানান মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পথচলা শুরু করেছে। কিন্তু দ্রুতগতির চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশ কতখানি যুক্ত হতে পারছে সেটি হচ্ছে আলোচনার বিষয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ, বিগ ডাটা, রিয়েল টাইম ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ইত্যাদি বিষয় চলে আসে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিতেই এখনো আমরা আশানুরূপ অবস্থান তৈরি করতে পারিনি। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হওয়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ইন্টারনেট সুবিধা। অথচ ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশ সুদান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডার মতো দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে। মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫তম। ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে আফগানিস্তান ও ভেনিজুয়েলা। ‘তবে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। চালু হয়েছে ৯৯৯ ও ৩৩৩-এর মতো জরুরি সেবা কার্যক্রম, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি কার্যক্রম,’ বলেন তিনি। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১০টি সুপারিশ উল্লেখ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর