× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যাহত / খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছে অর্ধকোটি টাকার যন্ত্র

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ২০ শয্যার ইউনিট খোলা হয়েছে। অথচ রক্তের প্লাটিলেট পৃথকীকরণসহ চিকিৎসাসেবা দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখা সেল সেপারেট এবং প্লাজমা অ্যাফেরেসিস মেশিন কয়েক বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অর্ধকোটি টাকার এই মেশিন পড়ে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীদের। দেড়-দুই হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই সেবা নিতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু ইউনিটে গত বুধবার পর্যন্ত ১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মারা গেছেন একজন। ডেঙ্গু রোগীর সেল সেপারেট প্রয়োজন হলেও ভিন্ন কৌশলে তা সম্পন্ন করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সেল সেপারেট মেশিনটি অনেকদিন ধরে অকেজো। মেরামত করে আর চালানো সম্ভব না। নতুন মেশিন ও প্লাজমা অ্যাফেরেসিস মেশিনের জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত মেশিন পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০২ সালে হাসপাতালে স্থাপন করা হয় সেল সেপারেট মেশিন। এটির দাম ৫০ লক্ষাধিক টাকা। সেই সময়ে কিছুদিন মেশিনটি চলার পর বন্ধ থাকে এক যুগের বেশি সময়। ২০১৬ সালে মেশিনটি আবার চালু করা হয়। কিন্তু তা চালানো যায়নি বেশিদিন। মেশিনটি ২০২০ সালে আবার বিকল হয়ে পড়ে। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালির পর প্রতিনিধি দল আসে। তারা জানায় মেশিনটি আর ব্যবহার করা সম্ভব না। হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম তুষার আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সেবার জন্য সেল সেপারেট এবং প্লাজমা অ্যাফেরেসিস মেশিন গুরুত্বপূর্ণ। সেল সেপারেট মেশিনের মাধ্যমে এক ব্যাগ রক্ত থেকে ৩টি উপাদান বের করা হয়। রক্তের লোহিত কণিকা, রক্তের তরল অংশ (প্লাজমা) ও রক্তের প্লাটিলেট আলাদা করা হয়। এ ছাড়া প্লাজমা অ্যাফেরেসিস মেশিনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে চাহিদা অনুযায়ী সরাসরি প্লাজমা কিংবা প্লাটিলেট প্রবেশ করানো যায়। যা অন্য পদ্ধতিতে করতে গেলে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা। মেশিন দু’টি রোগীর নানা রকম চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে রোগীর জন্য সেল সেপারেট মেশিনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রি সেবা দেয়া হতো। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই চিকিৎসা নিতে গেলে রোগীদের গুনতে হয় প্রায় দেড় হাজার টাকা। এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ডেঙ্গু ইউনিটের মুখপাত্র উৎপল কুমার চন্দ বলেন, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ৪ঠা আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন রাজু (৩৬)। ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালুর পর তাকে সেখানে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ই আগস্ট রাতে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ওয়ার্ডে ১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর