টাঙ্গাইলের লাল মাটির মধুপুর গড়ে কাজুবাদাম ও কফি চাষের উদ্বোধন করছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়ি এলাকার বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর গ্রামে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কাজুবাদাম ও কফির চারা বিতরণ ও রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প (বারি অঙ্গ) এর আওয়তায় মধুপুর এলাকায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের যাত্রা শুরু হলো। মাগন্তিনগর গ্রামে কফির চারা বিতরণ ও প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বারি পরিচালক ড. রীনা রানী সাহা, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আলতাফ হোসেন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফী উদ্দিন মনি, সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ নাছির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ষষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ। এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের পাহাড়িয়া অঞ্চল, বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
সারা দেশের যেসব অঞ্চলে কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্ভাবনা রয়েছে তা চাষের আওতায় আনতে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্যোগে কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বর্তমান সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের উদ্যোগে মধুপুরে ৫ জন প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে ১ জন কৃষকের জমিতে রোবাস্টা ও কফি অ্যারাবিকা দুই জাতের কফির চারা রোপণ করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কফি ও কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণ গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ এলাকায় মুন্নাছ আলী, আবদুর রহিম, আব্রাহাম রেমা ও আব্দুল করিম ফকিরের কফি চাষের জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করে। সারা দেশে ৯ জেলায় ২২টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।