× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে প্রাধান্য, প্রস্তুত আইসোলেশন সেন্টার

শেষের পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার

দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ই সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ, পরের দিন মেডিকেল কলেজ। টিকা গ্রহণ আর আবাসিক হল খোলা সংক্রান্ত জটিলতায় আপাতত না খুললেও খুব দ্রুতই শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। এরই ধারাবাহিকতায় অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া সাপেক্ষে অনার্স চতুর্থবর্ষ ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ই অক্টোবর থেকে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। টিকা নিশ্চিত করে বাকিদেরও খুব দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরানোর কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন কোনোভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায় সে লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আবার কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে তাও ঠিক করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং সেন্ট্রাল ফিল্ডে দুইটি পৃথক আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা প্রথমে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে শনাক্ত করে সেখানে আইশোলেশনে পাঠানো হবে।
পরে তার স্যাম্পল সংগ্রহ করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। পজিটিভ হলে তাকে কোভিড ডেডিকেটেড ঢাকা মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে সরেজমিন দেখ যায়, আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুতের কাজ এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সারোয়ার জাহান মুক্তাফি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে, আশা করি হল খোলার শুরু থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে পারবো। তিনি বলেন, আইসোলেশন সেন্টার এর পাশাপাশি আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখবো, যাতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে অক্সিজেন দিয়েই আমরা হাসাপাতালে পাঠাতে পারি। অক্সিজেনসহ কর্তব্যরত ডাক্তারদের মাস্ক পিপিই ক্রয়ের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানান, ঘনবসতিপূর্ণ হলের পরিবেশে খুব দ্রুতই  করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই গণরুম বন্ধের পাশাপাশি অছাত্রদের বের করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের রুমের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দিতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রদানসহ রিডিং রুম, ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে হল কর্তৃপক্ষের। অন্য একজন শিক্ষার্থী অতীতে মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইসোলেশনের সময় যাতে কোনো শিক্ষার্থী  দুর্ভোগের শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান। তাদের অনেকে দুই মাস আগে রেজিস্ট্রেশন করে এখনো ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ভ্যাকসিন না নিয়ে হলে ওঠার ক্ষেত্রে হয়রানির পাশাপাশি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। হলের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, প্রতিটি হলের সামনেই শিক্ষার্থীদের তাপামাত্রা স্ক্যান করেই ভিতরে প্রবেশ করানো হবে, তাপামাত্রা অস্বাভাবিক লাগলে তাকে আলাদা করে ফেলা হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের স্যানিটাইজেশন নিশ্চিতে সব হলেই বেসিন বসানো হয়ে। টিকা গ্রহণের সনদ ও হলে থাকার বৈধ কাগজপত্রের পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে ওঠার সময় শিক্ষার্থীদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসার নির্দেশ আসতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের গৃহীত রোডম্যাপ অনুযায়ী করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে জোর দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর