পশ্চিমবঙ্গে দেড় হাজার শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত, পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময় রাজনীতিবিদরা এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছেন। এই ব্যাপারে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস কেউ বাদ নেই। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের উদাসীনতার অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আনার আবেদন জানিয়েছেন। ঠিক তেমনই রাজ্যপাল জগদীপ ধানখার বলেছেন, বারবার বলা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার শিশু চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করেনি। ফিরহাদ হাকিম এর জবাবে বলেছেন, মাননীয় রাজ্যপাল যেন একটু উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান যেখানে ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন না পেয়ে। ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, ফিরহাদ কেন গায়ে মাখছেন, কেউ তো বলেনি যে উনি শিশু মৃত্যুর জন্যে দায়ী? রাজনৈতিক নেতাদের এই চাপান উতরের মাঝে শিশু আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দেড় হাজারে পৌছালো।
পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত দক্ষিণবঙের শিশুরাও। আইসিইউ গুলো ভরে গেছে আক্রান্ত শিশুতে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, করোনা না হলেও কিছু তো বটেই। খুঁজে বের করতে হবে উৎস। এই উৎসের সন্ধানে চার সদস্যের অনুসন্ধান টিম জলপাইগুড়ি পৌঁছেছে। এই জলপাইগুড়ি থেকেই অজানা জ্বরের সূত্রপাত। শনিবার পর্যন্ত রাজ্য সরকার এটিকে মৌসুমি জ্বর বলে চিহ্নিত করেছে। এরপর আরও আক্রান্তের ঘটনা ঘটলে? রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, দেখা যাক।