× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বাংলারজমিন

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যৌতুকের জন্য ফাহিমা বেগম (২৫) নামে এক গহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
নিহত ফাহিমা নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের মো. রিপন মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত ফাহিমার স্বামী একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা ও একটি ছেলে রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ফাহিমাকে নির্যাতন করতো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনের বিষয়টি বেশ কয়েকবার ফাহিমা তার বাবাকে মুঠোফোনে জানায়। এদিকে, গত ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে যৌতুকের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা আনার জন্য ফাহিমাকে চাপ দেয়া হয়। কিন্তু ফাহিমা টাকা আনতে অস্বীকৃৃতি জানালে তার সঙ্গে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের কথা কাটাকাটি হয়।
পরে স্বামীসহ অন্যরা মিলে ফাহিমাকে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় তার মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা করেছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত গৃহবধূর বাবা রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার রাতে আমার মেয়েকে যৌতুকের দুই লাখ টাকার জন্য পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকে ভিন্নখাতে নিতেই মুখে ইঁদুর মারার বিষ ঢেলে দেয়া হয়।
নিহতের স্বামী অভিযুক্ত মারুফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, চিকিৎসকরা ওয়াশ করে তার মুখ থেকে ইঁদুর মারার বিষ বের করেছেন। এ রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে। লাশ ময়নাদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে নিহতের পরিবারের লোকজন মামলা করতে বা আইনগত সহযোগিতার জন্য থানায় আসেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর