পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৫১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি ও অ্যানেসথেসিস্ট চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘ বছর বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতিসেবা। জরুরি মুহূর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য এলাকার মানুষকে ছুটতে হচ্ছে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল অথবা জেলার বেসরকারি কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩০ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয় তখন থেকেই হাসপাতালে সিজারিয়ানের জন্য একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনি এবং একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট থাকার কথা। কিন্তু বিগত ১২ বছরেও ওই দুটি পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জরুরি মুহূর্তে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কোনো নারী দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এতে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যেতে যাতায়াতের ভোগান্তির পাশাপাশি বিপুল অর্থ ব্যয় হয় রোগীর স্বজনদের।
উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতিসেবা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র পরিবারের নারীরা। উপজেলার বেসরকারি কোনো ক্লিনিকে সিজারিয়ান সেবা না থাকায় গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার জন্য ছুটতে হচ্ছে শহরে। পটুয়াখালীতে নেয়ার পথে কয়েকজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। চর বোরহান ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, কিছুদিন পূর্বে তার মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে তেতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে দশমিনা হাসপাতালে আসেন পরে তার মেয়েকে পটুয়াখালী স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার মেয়ের সিজারে সন্তান জন্ম দিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি এবং একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।