প্রতিবছর আলু উৎপাদনের পর নীলফামারীর ডোমার ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারে (বিএডিসি) প্রায় দুই শতাধিক একর জমিতে চাষাবাদ হতো না। সেই সব জমিতে চাষ করা হতো ধৈঞ্চা। ধৈঞ্চা চাষের মাধ্যমে জমিকে ঊর্বর করা হতো। তারপর চাষ করা হতো আলু। এবার ধৈঞ্চা চাষের পর ফার্মের ১৮৭ একর জমিতে আউশ ধান চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা। গত বছর ৭৬ একর আউশ চাষে ভালো ফলনে এবারে আরও বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।
বিএডিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ডোমার ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারের অধিকাংশ বেলে মাটি হওয়ায় (বিএডিসি) আলু উৎপাদনের পর শত শত একর জমি পড়ে থাকতো। চলতি বছরে সেই জমিগুলোতে দোআঁশ মাটি দিয়ে সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ।
এরপর এবারে ধানের উন্নতমানের বীজ তৈরির জন্য ১৮৭ একর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ কেজি ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেই ধান হতে বীজ তৈরি করা হবে। ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম ফার্মের সব জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে ।
খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা জানান, বর্তমানে আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। এবারে ১৮৭ একর জমিতে প্রায় ২২৫ মেট্রিক টন উন্নতমানের বীজ তৈরি হবে। সেই বীজ প্রায় ২৫ হাজার একর জমির বীজের চাহিদা পূরণ করা হবে।