× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাত-দিন প্রচারণায় জমে উঠেছে ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন

বাংলারজমিন

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার, ব্যানার আর লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। গান-ছন্দে প্রার্থীদের নজরকাড়া ভোট প্রার্থনা আর মাইকের আওয়াজে আন্দোলিত এখন শহর-গ্রাম। গণসংযোগে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থনা করছেন ভোট, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। যোগ দিচ্ছেন উঠোন বৈঠকে। এদিকে থেমে নেই কর্মীরাও। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে।
থেমে নেই নারী কর্মীরাও। তারাও দলে দলে ভোট চাইতে যাচ্ছেন এ বাড়ি ও বাড়ি। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে হচ্ছে কোনো না কোনো প্রার্থীর উঠোন বৈঠক অথবা নির্বাচনী পথসভা। পাড়া- মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে অনেক রাত পর্যন্ত চলে সাধারণ ভোটারদের ভোটের কড়চা। ঝড় তুলছেন চায়ের কাপে চুমুকের সঙ্গে। ছোট ছোট যুক্তিতর্কে ভোটের এবং প্রার্থীর আমলনামার হিসাব মেলান তারা।  আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেয়র পদে থাকা আবু ফয়েজ মো. রেজা। এ ছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে তরুণ সমাজসেবক ইসমাইল মুন্সী এবং মো. আসাদুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। মেয়র পদ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা হচ্ছেন ১ নং ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান মুন্সী, আইয়ুব আলী, ওয়াহিদ মোল্লা ও ওমর ফারুক হবি, ২নং ওয়ার্ডে এড. জহুরুল হক মিঠুন ও ইমদাদুল হক বাচ্চু। ৩ নং ওয়ার্ডে আঃ রমিদ মোল্লা, জাহিদ শেখ, জাহিদুর রহমান,  মো. শাহেবালী মাতব্বর ও মো. আক্তারুজ্জামান। ৪ নং ওয়ার্ডে নিয়ামত মাতব্বর, আহমেদ লায়েকুজ্জামান, এ. কে বশির উদ্দিন আহমেদ, ওসমান মাতব্বর, লেবু মিয়া, সাইদুর রহমান, পান্না মিয়া, মোসারেফ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, সুমন মাতব্বর মদা ও কচির হোসেন জীবন। ৫ নং ওয়ার্ডে আছাদ মাতব্বর, সুমন মাতব্বর ও আসিকুল ইসলাম জুয়েল। ৬ নং ওয়ার্ডে হাজী আবুল কালাম আজাদ, হাজী সেখ সৈয়দ আলী ও সালাউদ্দিন মোল্লা। ৭ নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম, মামুন শেখ, বাকী মাতব্বর ও রেজাউল মুন্সী। ৮ নং ওয়ার্ডে মো. লিয়াকত মোল্লা ও আকরামুজ্জামান মিঠু মুন্সী। ৯ নং ওয়ার্ডে টুটুল ফকির ও মো. জাকির মুন্সী। মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা হচ্ছেন-  নাজমা বিল্লাল, সাথী আক্তার, সেজুতি আক্তার, ফাতেমাতুজ্জহুরা ডালিয়া, মুসলিমা আক্তার, মেরিনা নয়ন, আঞ্জুমান আরা, কুলসুম বেগম, পারুলী আক্তার ও মরিয়ম বেগম। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮শ’ ৮১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪ শ’ ৪৬ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪শ’ ৩৫।  এদিকে বর্তমান পৌর সভার মেয়র একাধিকবার নির্বাচিত আবু ফয়েজ মো. রেজা দীর্ঘ ২ যুগ যাবৎ পৌর পিতার আসনে রয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের অধিকারী। দীর্ঘদিন জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এবং অমায়িক ব্যবহার আর কর্মবান্ধব হওয়ায় তার আসন কেউ টলাতে পারেনি। তিনি  নৌকা প্রতীক নিয়ে ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ১ নং মডেল পৌরসভাকে। ভাঙ্গা উপজেলায় রয়েছে দৃষ্টিনন্দন গোলচত্বর। এটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। আমি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। আমৃত্যু সেবক হয়ে মানুষের সেবা করে যেতে চাই। অন্যদিকে তরুণ সমাজসেবক ইসমাইল মুন্সী বয়সে তরুণ হওয়ায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনিও দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে তরুণদের নিয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তিনিও তরুণদের নিয়ে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অপরদিকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে  অবিরাম  প্রচারণা চালাচ্ছেন  মো. আসাদুজ্জামান।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল আলম বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়, কেন্দ্রগুলোর পরিচর্যা, পর্যাপ্ত পরিবেশ, ভোটারদের উপস্থিতি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে এবার পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এজন্য ভোটারদের ইভিএম ভোট প্রদান সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রশিক্ষণার্থীরা কয়েকটি কেন্দ্রে কাজ করছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন জানান, এবারের নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৮১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। বর্তমানে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট  সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনের দিন পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি আরও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। পৌরসভার ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি প্রায় সমপন্ন হয়েছে। উৎসুক মহলের প্রশ্ন কে হচ্ছেন পৌর মেয়র?
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর