× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মরিনহোর দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন ক্লাটেনবার্গ!

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

কোচ হোসে মরিনহোকে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন ফুটবল রেফারি মার্ক ক্লাটেনবার্গ! তার আত্মজীবনীমূলক বইয়ে ক্লাটেনবার্গ জানিয়েছেন এমন তথ্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চার বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-স্টোক সিটি ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ঘটে এ কাণ্ড। ক্লাটেনবার্গ লিখেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত চরম কাজটিই করলাম আমি তার  (হোসে মরিনহো) দিকে আমার পায়ের বুট ছুড়ে মারলাম।’
ইংলিশ রেফারি ক্লাটেনবার্গ লিখেছেন, আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয় আমার কি কখনো কোনো ম্যাচ শেষে প্রিমিয়ার লীগের রেফারিং ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছিল? আমার মনে পড়ে সেই ঘটনা। ২০১৭’র ২১শে জানুয়ারি স্টোক সিটি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলা। ম্যাচের একদম শেষ দিকে ফ্রিকিকে গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-১ সমতায় ফেরান ওয়েইন রুনি। ওই গোলেই রুনি ভেঙে দেন স্যার ববি চার্লটনের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। খেলা শেষ হওয়ার পর আমার দরজায় টোকা দিয়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকলেন ইউনাইটেড দলের কোচ হোসে মরনিহো। আমি তখন আমার পায়ের বুটজোড়া খুলছিলাম।
আমি বললাম- এবার তুমি নিশ্চয় খুশি। ড্র’র জন্য তুমি আমাকে দোষ দিতে পার না, তাই না? সে পেনাল্টি বক্সে স্টোকস ডিফেন্ডার রায়ান শক্রসের এক হ্যান্ডবলের প্রসঙ্গ তুললো। আমি বললাম তুমি কী বলছো? আমি সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছি। মরিনহো বললো, ‘না আমি ভিডিও দেখেছি, তোমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল’। সে বলে যেতেই লাগলো। ‘চুপ থাকো’ বলে চেচিয়ে উঠলাম আমি। আমার হাতে থাকা বুটজোড়া তার দিকে ছুড়ে মারলাম দেয়ালে। চেচিয়ে বললাম- এখনই আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাও। আমার মনে হলো মরিনহো মূর্তির মতো অবশ হয়ে গেছে। এমন কিছুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। বুঝতে পারছিল না কী বলবে। আমি এসব ‘মাইন্ড গেম’ নিয়ে খুব বিরক্ত ছিলাম। গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে বারবার শক্রসের ঘটনার ভিডিও দেখছিলাম। আমার সিদ্ধান্তই ঠিক। বল তার বুকে লেগেছিল, হাতে নয়। তাহলে মরিনহো আমার সঙ্গে জঘন্য খেলা খেললো কেন?
রাতে বিছানায় শুয়ে ভাবলাম, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এবার শেষ টানবো। এমন ব্যক্তিদের আর সহ্য করবো না।’
২০০৬ সালে ৩০ বছর বয়সে ফিফার পেশাদার রেফারির মর্যাদা পান মার্ক ক্লাটেনবার্গ। ২০০৬ সালের ১১ই মে ইংলিশ ফুটবল তারকা অ্যালান শিয়েরারের বিদায়ী ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ক্লাটেনবার্গ নিজেও একজন নিউকিস্যাল ইউনাইটেডের সমর্থক। ইংল্যান্ডের সফল এ রেফারি তার ক্যারিয়ারে ২০১২ সালের অলিম্পিক মেন্স ফুটবলের ফাইনাল, ২০১৪ উয়েফা সুপার কাপ, ২০১৬’র উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল, ২০১৬ ইউরো ফাইনাল পরিচালনা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর