আফগানিস্তানে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনে তালেবানদের উদ্বুদ্ধ করার আলোচনা শুরু করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, এতে আফগানিস্তান ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। ইমরান খান শনিবার টুইট করেছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে’তে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। এরপর তালেবানদের সঙ্গে ওই আলোচনা শুরু করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
গত সপ্তাহে তালেবানরা একটি অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে। তাতে কোনো নারীকে বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাউকে স্থান দেয়া হয়নি।
প্রথম দিকে তারা নারীসহ সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিলেও এক্ষেত্রে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এ ছাড়া তারা নারীদের অধিকার খর্ব করেছে।
ইমরান খান বলেন, দুশানবে’তে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের মিটিংয়ের পাশাপাশি তিনি তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন নামের এই আর্থিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক গ্রুপটি গড়ে উঠেছে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে। ইমরান খান তার টুইটে লিখেছেন, দুশানবে’তে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর, বিশেষভাবে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমনের সঙ্গে। এরপরই আফগানিস্তানে তাজিক, হাজারা, উজবেক সম্প্রদায় সহ সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। ৪০ বছরের যুদ্ধ শেষে এমন সরকার প্রতিষ্ঠা করা গেছে তাতে আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। তা শুধু আফগানিস্তানের স্বার্থেই হবে এমন নয়। একই সঙ্গে এই উপকার ভোগ করবে পুরো অঞ্চল। তবে কোন রকম বা কিভাবে, কার সঙ্গে এই আলোচনা শুরু করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান নি ইমরান খান।