× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গ্লাভস হাতে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত সোহান

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর উইকেটের পেছনে দেখা যাবে না মুশফিকুর রহীমকে। সব শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে এমন ঘোষণা দেন দেশের সেরা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। হ্যাঁ- বলার অপেক্ষা নেই অভিমানেই এমন সিদ্ধান্ত। কারণ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার গ্লাভস তুলে দিয়েছিলেন নূরুল হাসান সোহানের হাতে। এক রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন অভিজ্ঞ কিপার। আর সেই কারণেই তার এমন সিদ্ধান্ত। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের উইকেটের পেছনে রক্ষী হিসেবে দেখা যাবে সোহানকেই। দীর্ঘ ৩ বছর দলের বাইরে থাকা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শেষ তিন সিরিজে গ্লাভস হাতে দারুণ চমক দেখিয়েছেন।
এরই মধ্যে তাকে বলা হচ্ছে দেশের সেরা কিপার। তবে এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই বিশ্বকাপের জন্য কতোটা প্রস্তুত তিনি! পারবেন তো মুশফিকের জায়গাতে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে! এ বিষয়ে সোহান বলেন, ’শুধু বিশ্বকাপ না আমার কাছে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আমিও না যারা বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলে সবার জন্যই এটা গুরুত্বের। আর যেকোনো দলের বিপক্ষেই বাংলাদেশের হয়ে খেলা একটা গর্বের ব্যাপার।’
অন্যদিকে মুশফিকুর রহীম শুধু কিপারই নয় দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদেরও একজন। ব্যাট হাতে দলের জয়ে রেখে আসছেন দারুণ ভূমিকা। তাই সোহানের চ্যালেঞ্জটা শুধু কিপিং নয় ব্যাটিংয়েও। শেষ তিন সিরিজে ব্যাট হাতে আহামরি পারফরম্যান্স না হলেও সোহান নিজেকে প্রমাণ করেছেন ব্যাটসম্যান হিসেবেও। বিশ্বকাপেও প্রস্তুত দলের জন্য ব্যাট হাতে নিজের সেরাটাই দিতে। তিনি বলেন, ‘সব থেকে বড় হলো আমার দায়িত্ব কতোটুকু পালন করতে পারছি। যেকোনো সময় ব্যর্থ হতেই পারি কিন্তু তা নিয়ে না ভেবে প্রতিটা ম্যাচে শিক্ষা থাকে যে, এই জায়গা থেকে আমি কীভাবে নিজেকে তুলে আনতে পারবো। আমার কাছে ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ বা ১০০ করেও যদি দল হারে তার থেকে পরিস্থিতি যা থাকে সেখানে চাহিদামতো ১০-২০ রানও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো আমার লক্ষ্য ওইটায় থাকে যেন যে পজিশনেই খেলি না কেন দলের জন্য জয়ে ভূমিকা রাখতে পারি।’
মুশফিক অভিমানে কিপিং ছাড়লেও মাঠে দেখা মেলেনি সোহানের প্রতি তার একটুও বিরাগ। বরঞ্চ মাঠেও দেখা গেছে অনুশীলনে সোহানকে দীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। সোহানও চান দেশের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপারের কাছে নিজের এগিয়ে নেয়ার শিক্ষা নিতে। তিনি বলেন, ‘শুধু সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে না। মুশফিক ভাই তো ১৬-১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ দলে খেলছেন। শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষকদের একজন তিনি। তো আমি সবসময়ই চাই যে, তার কাছ থেকে তার অভিজ্ঞতা ও যে জিনিসগুলো শেখার আছে সবসময় সেসব নিয়ে কথা হয়। এমনকি যখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম তখন ফিটনেস, ব্যাটিং ও উইকেটকিপিং নিয়ে সবসময় কথা হতো। তো সবসময়ই তার কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে থাকি।’
সব শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলের প্রধান কোচ প্রথম দুই ম্যাচ কিপিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সোহানকে। পরের দুইটি মুশফিককে। দু’জনের পারফরম্যান্স দেখে ৫ম ম্যাচে কোচ বেছে নিতেন সেরা কিপারকেই। তবে এমন পরীক্ষার আগেই গ্লাভস খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। যে কারণে এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সোহান নিশ্চিত করেই মাঠে থাকবেন উইকেটকিপার হিসেবে। তাই নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে দারুণ সুযোগ তার সামনে। এ বিষয়ে সোহান বলেন, ‘সব থেকে বড় হলো দুই/তিন বছর যখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম তখন থেকে আমার মানসিকতা পরিবর্তন করতে পেরেছি। এখন খুব বেশি কিছু ম্যাটার করে না। মনে হয় যখন দলের হয়ে খেলছি তখন দলের জয়ে ভূমিকা রাখার জন্য যে দায়িত্ব থাকে সেটা পালন করাই আমার প্রথম দায়িত্ব। তো আমার কাছে কোনো বিষয় এখন অতটা ম্যাটার করে না। বড় বিষয় হলো আমি পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠিন পরিশ্রম করতে চাই, অনেক কিছু যেগুলো আমার আয়ত্বে নেই বা ভবিষ্যৎ বা অতীত নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমার কাছে মনে হয় আমি দলের জন্য কতোটুকু করতে পারছি, ব্যাটিং-কিপিং বা ফিল্ডিং, এমনকি যখন একাদশের বাইরে থাকি তখনো এটাই ভাবি। আমার জায়গা থেকে যে দায়িত্ব থাকবে সেটা শতভাগ কতোটুকু করতে পারছি-সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবে শেষ দুটি সিরিজ খেলেছে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দুই দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। ১০ টি-টোয়েন্টি খেলে জয় এসেছে ৭টিতে। বলার অপেক্ষা রাখে না দারুণ সাফল্য। তবে ওমান ও দুবাইয়ে কন্ডিশন ভিন্ন। সেখানে চ্যালেঞ্জ নেয়ার বিষয়ে সোহান বলেন, ‘শেষ তিনটা সিরিজ আমরা খুব ভালো খেলেছি এবং দলের সবাই আমরা এটাই বিশ্বাস করছি যে, যেকোনো বড় দলের বিপক্ষে আমরা জিততে পারি। এই চিয়ার আপ ও আত্মবিশ্বাসটা আমাদের বিশ্বকাপে অনেক সাহায্য করবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর