কেন্দ্রে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারছে না বলে দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ থাকার কারণে ভয় পেয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারছে না।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল ইসলাম জানান, ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ২৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পুলিশের কাছে নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল প্রতীকের আবু নাসের জানান, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। কেন্দ্র দখলের মধ্যে দিয়ে চলছে সোনাগাজী পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদেরকে ভয়-ভীতি দেওয়ার কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারছেন না।
৩ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমাম উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, বাইরে নিরাপত্তা জোরদার থাকলেও কেন্দ্রের ভিতরে একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টসহ অন্য এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বহিরাগত সমর্থকরা। এই ওয়ার্ডের আল-হেলাল কেন্দ্রের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইমাম উদ্দিন ভূঁইয়ার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল হালিম সোহেল সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সোনাগাজী পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৯৮৫ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১২৭ জন ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৮৫৮ জন। সর্বমোট ৯ টি কেন্দ্রের ৪৯ টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন লড়ছেন। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভেকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। এছাড়া আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাসের, শেখ সেলিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাত পাখা মার্কার প্রার্থী হাফেজ মাওলানা হিজবুল্লাহ। আর ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য এক জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স।