× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অকাস চুক্তি, নিন্দা জানালো উ. কোরিয়া, শুরু হবে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, সোমবার, ৩:৫০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণ নিয়ে অকাস চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা বলেছে, এই চুক্তির ফলে এক ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা’ উস্কে দেবে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্যতা নষ্ট করতে পারে অকাস চুক্তি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেনের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি অকাস স্বাক্ষর করে অস্ট্রেলিয়া। এর অধীনে প্রথম দুটি দেশ অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ দেবে। চুক্তিকে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাবের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় অকাস চুক্তি।
এর আওতায় রয়েছে ক্রুজ মিসাইল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য প্রযুক্তি। এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এটা অনাকাঙ্খিত ও বিপজ্জনক চুক্তি। এর ফলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য নষ্ট হবে। সৃষ্টি হবে এক পারমাণবিক অস্ত্রের চেইন প্রতিযোগিতা।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া বড় দুটি অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে একটি দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যটি ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এই চুক্তির কড়া সমালোচনা করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ওই তিনটি দেশের মধ্যে সৃষ্ট জোট আঞ্চলিক শান্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে পিয়ংইয়ং। তারা বলেছে, চীনের মতো প্রতিবেশী দেশ এমন দায়িত্বহীনের মতো কর্মকা-ের নিন্দা জানাবে এটাই তো স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, এই চুক্তির ফলে ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশকে সাবমেরিন প্রযুক্তি শেয়ার করছে। এর আগে একবারই তারা তা করেছিল। তারা সেবার বৃটেনকে এই প্রযুক্তি দিয়েছিল। এর অর্থ হলো, এখন অস্ট্রেলিয়াও পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে সক্ষম হবে, যা প্রচলিত পদ্ধতির যন্ত্রপাতি দিয়ে শনাক্ত করা হবে কঠিন। কারণ, এসব সাবমেরিন পানির নিচে কয়েক মাস পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। বহু দূরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এই সাবমেরিনে তারা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করবে না।
চুক্তি ঘোষণার সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন তিনটি দেশের সরকারই। কিন্তু তারা সরাসরি চীনের নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু বুদ্ধিমানেরা বুঝে নিয়েছেন এ চুক্তি চীনের প্রভাবকে খর্ব করতে করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর