× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থানচিতে রাস্তার কাজ বন্ধ, জনদুর্ভোগ

বাংলারজমিন

নুরুল কবির, বান্দরবান থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

বান্দরবানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকাদার বর্ষা ও করোনার অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে। দুই পক্ষের টানাটানিতে রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েছে।
জানা গেছে, এলজিইডি’র অর্থায়নে বান্দরবানের থানচি বাজার থেকে ছাংদাকপাড়া ও কলেজে যাওয়ার জন্য রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়। টেন্ডারের পর কার্যাদেশ পাওয়ার পর রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু হলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলা হলেও মূলত রাস্তার ‘ফিনিশিং’ না হওয়ায় এটি চলাচলের উপযোগী হয়নি। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শত শত মানুষ ও যানবাহনের দুর্ভোগ কমেনি। বরং রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল যেমন ব্যাহত হয়, তেমনি স্থানীয় লোকজনেরও চলাচল কষ্টদায়ক। বান্দরবান এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বান্দরবান-থানচি বাজার-টিঅ্যান্ডটি পাড়া-ছাংদাক পাড়া এবং বাস স্টেশন হতে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার মোট দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
গত বছরের জুলাই মাসে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই টেন্ডারের অনুকূলে দু’টি প্যাকেজে রাস্তা পাকাকরণ কাজটি পায় এলজিইডি’র তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউটি মং। স্থানীয় বাসিন্দা আহম্মদ কবির, জওয়াইপ্রু মারমাসহ কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, রাস্তাটি বর্তমানে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে মোটরসাইকেল চালক ও পথচারীরা পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। কাজটি অসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো খবর নেই। প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তারা রাস্তাটি দেখতে আসেননি বলে জানান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউটি মং এর পক্ষে ঠিকাদার ফারুক আহম্মদ চৌধুরী জানান, গত বছরের আগস্ট মাস কাজটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। যা চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়ার কথা। অফিস থেকে বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে আপাতত কাজটি বন্ধ আছে। তবে বরাদ্দ পেলে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি। তবে সরজমিন ঠিকাদার ও এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে।
গত রোববার বিকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবান কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার প্রায় ৫০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্ষা এবং এ কাজের ফান্ড সমস্যার কারণে কর্তৃপক্ষ ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগুচ্ছে। আমরা ঠিকাদারকে বলেছি, আপনারা আস্তে-ধীরে কাজ করতে থাকেন। তারপরও এলজিইডি থেকে কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর