বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে জেমি ডে অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়ে গেছে। তবে, কাগজে-কলমে আরও দুই মাসের জন্য জাতীয় দলের কোচের পদে আছেন এই বৃটিশ কোচ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। এর আগেই বাংলাদেশ ছাড়তে চান জেমি ডে। দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান তিনি। এই দুই মাস তার বদলে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন স্প্যানিয়ার্ড কোচ অস্কার ব্রুজন।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ঠিক আগে, আলোচনা না করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় হতবাক জেমি দেশ ছাড়ছেন শিগগিরই। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির কষ্ট নিয়ে নীরবে ইংল্যান্ডে ফিরে যাচ্ছেন এ কোচ।
আপাতত অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এক হোটেলে অবস্থান করছেন জেমি ডে। ইংল্যান্ডে ফেরার জন্য বিমান টিকিটের অপেক্ষায় তিনি। নিশ্চিত হলেই দেশ ছাড়বেন এই ফুটবল ট্যাকটিশিয়ান। দেশে ফেরার বিষয়ে জেমি ডে বলেন, ‘টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি। নিশ্চিত হলেই চলে যাবো।’ বাফুফের সিদ্ধান্তে নাখোশ এই ইংলিশ কোচ বলেন, ‘তারা (বাফুফে) যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তবে তার আগে আমাদের সঙ্গে একটু আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু তারা সেটা না করে আমাকে বাদ দিয়েছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে আমি দেশ ফিরে গিয়ে আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করনীয় ঠিক করবো।’ গত নেপাল ও কিরগিজস্তান সফরে মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ দলের খেলা। তারপর থেকে নাখোশ ফেডারেশনের সভাপতি থেকে সদস্যরা। সমপ্রতি কিরগিজস্তান সফরে তিন ম্যাচে হার নিয়ে দেশে ফেরে জামাল ভূঁইয়ারা। র্যাঙ্কিংয়েও নিচে নেমে যায় দল। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বাফুফে। গত বছর জুনে জেমির সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় ফেডারেশন। ২০২২ সালের ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত কোচের দায়িত্বে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন জেমি। দুই মাস পর জেমির সঙ্গে ইতি টানবে বাফুফে। চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আবার ফেরা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি সম্ভাবনা কম বলে জানান। জেমি বলেন, ‘আমার মনে হয় না ফেরা হবে। তারপরেও দেখি কী হয়।’ ২০১৮ সালের ১৭ই মে জাতীয় দলের জন্য জেমি ডেকে কোচ হিসেবে ঘোষণা দেয় বাফুফে। দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় দলকে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডে নেন জেমি। তার অধীনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল এশিয়ান গেমসের নকআউট পর্বে প্রথমবার পা রাখে।