× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস আতঙ্ক, নেই প্রতিকার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:৪৬ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৯ জন মারা গেছেন। এই ভাইরাস সংক্রমণ হয় মশার কামড় থেকে। এর কোনো প্রতিকার নেই। এতে একজন মানুষের প্যারালাইসিসও হয়ে যেতে পারে। এ বছর ২৯টি রাজ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ জন্য নিউ ইয়র্কের কর্মকর্তারা মশার এই প্রজনন মৌসুম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বিপন্ন মানুষদের নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেশি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মিরর।
এতে বলা হয়েছে, যেহেতু এই রোগের কোন প্রতিকার নেই, তাই মশাবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। এতে বলা হয়েছে, আক্রান্ত একটি মশার কামড় থেকে মারাত্মক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এতে হতে পারে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্কঝিল্লির প্রদাহ, মস্তিষ্কের প্রদাহ ও আরো খারাপ সব উপসর্গ। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।
এই ভাইরাসের মূল উৎপত্তি আফ্রিকায়। তবে তা করোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামক নয়। ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষ বা অন্য পশুর দেহে বিস্তার লাভ করে। বলা হয়েছে, এর ফলে স্লায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয় মানুষের দেহে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মশার কামড়ে প্রবীণ এবং ক্লিনিক্যালি ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোর মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বছর প্রথমে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রথম মৃত্যুর রিপোর্ট নিশ্চিত করা হয়েছে লস অ্যানজেলেস থেকে। সেখানে অজ্ঞাত একজন অধিবাসী স্নায়ুবিক সমস্যায় ভুগে মারা গেছেন। দ্বিতীয় মৃত্যু হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে ৮৬ বছর বয়স্ক ব্যক্তি বসবাস করতেন ডনাল্ড স্ট্রিটে। তিনি শুক্রবার মারা গেছেন। তার ছেলে বলেছেন, তিনি বাসার পিছনে বসে ছিলেন। সেখান থেকে আক্রান্ত মশায় তাকে কামড়েছে। তবে সবার উপরে আছে অ্যারিজোনা রাজ্য। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। মারা গেছেন দু’জন। ২৯টি রাজ্যে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত এর মধ্যে ৬টি রাজ্যে মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে টেক্সাসে দু’জন মারা গেছেন। নিউজার্সি, ইডাহো এবং আরকানসাসে মারা গেছেন একজন করে। কলোরাডো রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। তবে সেখানে কেউ তারা যাননি।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাঝারি তাপমাত্রায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের মতো রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক এনএইচএস বলেছে, বৃটেনে এখনও কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। খুব কম সংখ্যক মানুষই এই রোগ নিয়ে বৃটেনে এসেছেন। তবে এই ভাইরাস সংক্রামক নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, কিছু মানুষের মধ্যে মাঝারি ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা দেয়, ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে, এমনকি অসুস্থ বোধ করতে পারেন। তবে এর কোনো প্রতিকার বের হয়নি। যেসব মানুষের বয়স ৫০ বছরের ওপরে অথবা যাদের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের জন্য এই রোগটির ঝুঁকি খুব বেশি। এ জন্য নিউ ইয়র্কের পাঁচটি বরো’তে এই ভাইরাস পাওয়া যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর