× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভ্যাকসিন প্রয়োগেই কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, মঙ্গলবার, ৫:১২ অপরাহ্ন

দেশের মানুষের জন্য করোনার ভ্যাকসিন কিনতে ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর এসব টিকা প্রয়োগ করতে সরকারের ‘কয়েক হাজার কোটি’ টাকা ব্যয় হবে। একারণে ভ্যাকসিন কার্যক্রম আগামীতে আরও ভালো হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভ্যাকসিনে আমাদের দেশ বেশ ভালো করেছে দাবি করে  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো ভ্যাকসিন তৈরি করি না। যেসব দেশে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, তারা হয়তো আরও বেশি দিয়েছে। কিন্তু জোগাড় করেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলেছি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে টিকা ক্রয় করে নিতে হবে- উনি এক মুহূর্ত দেরি করেন নাই। বলেছেন-অর্ডার দিয়ে দাও। আমরা চীন থেকে ছয় কোটি টিকা কিনেছি।
উনি এক মুহূর্ত দেরি করে নাই বলেছেন অর্ডার দিয়ে দিতে। কাজেই এই দুই অর্ডারে প্রায় ১৬ কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি, বয়স্কদের দেয়া হচ্ছে। সব কাজ কিন্তু একসঙ্গে চলছে। দেশে ডেঙ্গু বেড়েছে, আমাদের তাদেরও চিকিৎসা দিতে হয়েছে একই সময়ে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বসে নেই। মন্ত্রণালয় কিন্তু দরজা বন্ধ করে নাই, প্রতিটা হাসপাতালে লোকজন ছিল।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বলেন, প্রতিবছর দেশে যক্ষ্মা রোগে ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আমাদের দেশে ২০০৪ সালে যক্ষ্মাতে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানামুখী পদক্ষেপে এটা নিয়ন্ত্রণে আসছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এখন যক্ষ্মাতে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমে এসেছে। বাংলাদেশে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৯০ শতাংশই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা এই চিকিৎসা বিনামূল্যে দিচ্ছে। ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য এই রোগী আরও কমিয়ে আনা।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যদি যক্ষ্মা নির্মূল করতে চাই এবং যক্ষায় মৃত্যুর হার কমাতে চাই, তাহলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত সঠিকভাবে করতে হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করা সম্ভব হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে ওঠে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘‘জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি” স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম সফল একটি কার্যক্রম। যক্ষ্মা গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার কারণে এই কর্মসূচির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর গড়ে ৩ লক্ষাধিক ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৯০ শতাংশেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে প্রতি বছর সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বিগত কয়েক বছর ধরে কেইস নোটিফিকেশনের হারের প্রবৃদ্ধি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে গতি দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে  আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর