× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চান্দিনায় যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে লবিং-গ্রুপিং

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা যুবদলের কমিটি নেই। চলতি মাসেই কেন্দ্র থেকে ঘোষিত হতে পারে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। কিন্তু এ আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দলে চলছে চরম টানাপড়েন। পাল্টাপাল্টি পৃথক দুটি কমিটি জমা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রে। গুঞ্জন উঠেছে ২০ দলীয় শরীক দলের এলডিপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন অনেকেই আহ্বায়কসহ গুরুত্বপুর্ণ পদ বাগিয়ে নিতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী এবং নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করার দাবি দলের তৃণমূলের। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চান্দিনা উপজেলা যুবদলের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়া হয়।
কথা ছিল ৩ মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করার। কিন্তু করোনার কারণে কমিটি গঠন পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি চান্দিনা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলে দলের আহ্বায়ক হতে অনেকেই লবিং-গ্রুপিং শুরু করেন। কেন্দ্রে জমা দেয়া হয় পৃথক দুটি আহ্বায়ক কমিটি। এক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন যুবদল নেতা আবুল খায়ের এবং সাইফুল ইসলাম খোকন। অপর জমা দেয়া কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ছাত্রদল ছেড়ে এলডিপিতে যুক্ত হওয়া শরীফুজ্জামান। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ এক সময়ের উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি  শরীফুজ্জামান দল ছেড়ে এলডিপিতে যোগদান করেন। পরে এলডিপির অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আমৃত্যু সভাপতি প্রয়াত খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন এলডিপি নেতা শরীফুজ্জামান। খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পর চান্দিনায় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রয়াত খোরশেদ আলমের পুত্র আতিকুল ইসলাম শাওন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে যুবদলের আহ্বায়ক পদ প্রত্যাশী শরীফুজ্জামান বলেন, আমি চান্দিনায় দলের দুঃসময়ে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সংগঠিত করেছি, বিগত সংসদ নির্বাচনে ২০ দলের পক্ষ থেকে এলডিপি নেতা এড. রেদোয়ান আহমেদ মনোনয়ন পাওয়ায় জোটের স্বার্থে এলডিপির সঙ্গে মাঠে কাজ করতে হয়েছে, এর বেশি কিছু নয়। তিনি আরও বলেন, আমি ছাত্রদল করতাম তাই পুলিশ প্রয়াত নেতা খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলায় আমাকে সাক্ষী করেছিল, এসব তথ্য কেন্দ্রীয় নেতারাও আমার নিকট জানতে চেয়েছেন। আদালতে আমার জবানবন্দি কী ছিল তাও খতিয়ে দেখা উচিত। দলে গ্রুপিং ও  দ্বন্দ্বের কারণে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানান। যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাদের বলা হয়েছিল দুই কমিটিকে সমন্বয় করার। এটা কীভাবে করবো? যারা এলডিপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন তারা কেন ও কীভাবে যুবদলের পদ চায়। এটা হলে যুবদলের নীতি, নৈতিকতা ও গঠনতন্ত্র বলতে কিছুই থাকবে না। এখন কেন্দ্র কী করবে এটাই দেখার বিষয়।’ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল ইসলাম শাওন বলেন, যুবদলের আহ্বায়ক পদ প্রত্যাশী শরীফুজ্জামান ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে যোগদান করে ওই দলের একটি অঙ্গ সংগঠনের সভাপতির পদ লাভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, চান্দিনায় বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক সুসংগঠিত। তাই অন্য দল থেকে আসা ব্যক্তিদের দিয়ে নয়, কেন্দ্র দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর