× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদেশি কোচ ছাড়াই নারী দল নিয়ে বড় আশা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আবারো ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নভেম্বরে অংশ নিবে আইসিসি’র ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। তার আগে অবশ্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়োজক জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও। তবে এই দু’টি সফরেই বাংলাদেশ নারী দল পাবে না কোনো বিদেশি কোচ। সবশেষ ২০২০ এর মার্চ পর্যন্ত কোচ ছিলেন ভারতের আঞ্জু জৈন। তবে এরপর তার সঙ্গে নানা কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি। তারপর থেকে কোনো বিদেশি কোচও নিয়োগ দেয়নি বিসিবি।
বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত কোচ পাওয়া যায়নি। তাই এবার দেশি কোচদের ওপর ভরসা রেখেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে নারী দল। তবে এতে ভয়ের কিছু দেখছেন না নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, বিদেশি কোচ ছাড়াই দারুণ করবে দল। তবে এখনও নির্বাচন করা হয়নি নারী দলের দেশি কোচ। তাই এখনই নাম প্রকাশ করতে রাজি নয় নারী বিভাগ। এ বিষয়ে নাদেল বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী দল জানে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে যাবে। তার আগেই সেই ভেন্যুতেই আয়োজক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবো। হ্যাঁ, এবারও আমাদের কোনো বিদেশি কোচ থাকছে না। দেশিদের ওপরই ভরসা রাখতে চাই।’ সবশেষ ২০২০ এর ডিসেম্বরে নারী দলের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল ইংলিশ কোচ মার্ক রবিনসনের। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি আর দায়িত্ব নেননি। এছাড়াও গেল দুই বছর ধরে বেশ কয়েকজন বিদেশি কোচের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাদের আর পাওয়া যায়নি। কেন এতো দিনে পাওয়া গেল না কোনো বিদেশি কোচ! এ বিষয়ে শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘দেখেন আমাদের দেশীয় কোচরা দারুণ, এমন নয় যে, তারা চলবে না। তবে বিদেশি কোচ খোঁজার কারণ হলো যেহেতু তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতা বেশি থাকে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা দ্রুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ বুঝুক। তবে এখন আমাদের ভাবনা দেশি কোচদেরই সুযোগ দেবো। তারাও নিজেদের সেরাটা দিয়ে করবেÑ সেটাই আমার বিশ্বাস। আর বিদেশি কোচ না পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো করোনা মহামারি। এর মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গেই আমাদের কথা চূড়ান্ত হয়েছিল। পরে এই উপমহাদেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়াতে তারা আর পরিবারের চাপে দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।’ অন্যদিকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিন ওয়ানডে ম্যাচকে প্রস্তুতির জন্য দারুণ সুযোগ হিসেবেই দেখছেন নাদেল। তিনি বলেন, ‘নারী দলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব জিম্বাবুয়েতে। তার আগে আমরা সেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এ সিরিজে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও থাকবে। সব মিলিয়ে চার ম্যাচ। এতে করে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিতে পারবে আমাদের মেয়েরা। যদিও বাছাই পর্বে আমাদের দু’টি কঠিন দলের মুখোমুখি হতে হবে। এরপরও আমি মনে করি আমরা বিশ্বকাপে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবো। এরই মধ্যে আমাদের একটি প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজারে ক্যাম্প করছে। আরও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে।’ প্রায় ২ বছর ধরেই কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক সিরিজ বা আসরে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ দল। তাই বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নারী দল মানসিক ও শারীরিকভাবে কতোটা প্রস্তুত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ বিষয়ে নাদেল বলেন, ‘হ্যাঁ, করোনা কথা ভেবে আমরা নারী দল নিয়ে ঝুঁকি নেইনি এটা ঠিক। তবে বসেও ছিলÑ তা নয়। এটা কিন্তু সত্যি করোনার মধ্যেও ছেলেদের আগে মেয়েরা প্রস্তুতি শুরু করেছিল। মাঝে কিছুটা বন্ধ থাকলেও আবারো চলছে পুরোদমে প্র¯ুÍতি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মেয়েরা সামানে চ্যালেঞ্জ নিতে শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ভাবে ফিট আছে।’
বাছাইপর্বের খেলা শুরু হবে আগামী ১৬ই নভেম্বর, যা চলবে পরবর্তী ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ৯টি দল অংশগ্রহণ করবে। দলগুলো হলো- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপের মূল আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালে। স্বাগতিক দেশ নিউজিল্যান্ড। আর এই বৈশ্বিক আসরে সরাসরি অংশ নেবে ৫টি দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর