× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন /শিক্ষায় এগিয়ে সাগর, নগদ টাকায় ভানু, সম্পদে আফজল

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত হলফনামায় দেখা গেছে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগকারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রেমসাগর হাজরা। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আফজল হক সম্পদে এগিয়ে আছেন। তিনি নির্বাচন করছেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভানু লাল রায়ের নগদ অর্থ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে বেশি। আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
হলফনামায় প্রার্থীদের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও উপজেলা শ্রমিক লীগ যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাস। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে আফজল হক এসএসসি পাস করেছেন, ভানু লাল রায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন এবং মিজানুর রব এসএসসি পাস করেছেন।
স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির কলামে দেয়া তথ্যে সবচেয়ে বিত্তশালী প্রার্থী আফজল হক, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৪ হাজার ৭ টাকা।
আফজল তার হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। ব্যবসা থেকে আফজল হকের বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কাছে নগদ দশ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রীর কাছে নগদ ১৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। ব্যাংকে তার হিসাবে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭ টাকা রয়েছে। স্বর্ণ, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আফজলের আছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার। কৃষি ও অকৃষি জমি মিলিয়ে আফজল ও তার স্ত্রীর রয়েছে মোট ১১ দশমিক ৩১ একর জায়গা, যার মধ্যে একটি দালান ও একটি বাগান রয়েছে। আফজল হকের ব্যাংকে ঋণ আছে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আরেক প্রার্থী প্রেমসাগর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কৃষিকাজ। তার হাতে নগদ আছে ২ লাখ টাকা তার ব্যাংকে নিজের নামে ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং স্ত্রীর নামে আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃষিকাজ থেকে তার বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে তার ওপর নির্ভরশীলদের রয়েছে আরও ৫ লাখ টাকা। যানবাহনের কলামে প্রেমসাগর লিখেছেন তার ওপর নির্ভরশীলদের একটি কার ও মোটরসাইকেল রয়েছে। প্রেমসাগরের স্ত্রীর ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও আসবাবপত্র রয়েছে আড়াই লাখ টাকার। প্রেমসাগরের নামে ২টি ফৌজদারি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভানু লাল রায়ের হাওর বিলাস ফিশারি নামে একটি মৎস্য খামার রয়েছে উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকায়। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন বাৎসরিক ১ লাখ ১১ হাজার টাকা সম্মানী পেতেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ভানু লাল রায়ের কাছে নগদ অর্থ আছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যানবাহন আছে তার ৫৫ হাজার টাকার। ভানু লাল রায়ের স্থাবর সম্পত্তি আছে ৪.৯ একর যার বর্তমান মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র রয়েছে ৯০ হাজার টাকার। ভানু লাল রায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩০ টাকা। এদিকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রব এক্সপেট্রা লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন। মিজানুর রবের চাকরি থেকে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ টাকা, তার কাছে নগদ অর্থ আছে ৪ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ টাকা। মিজানুর রবের ১ লাখ টাকা মূল্যমানের ৫ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে, তার আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী আছে ১ লাখ টাকার। তার কোনো কৃষি বা অকৃষি জমি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। মিজানুর রবের মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর