ওগো খলনায়িকাজীবনের প্রথম তোকে লিখতে বসেছি। ক’দিন ধরে তোর কথা খুব বেশি করে মনে পড়ছে। বিশেষ করে আজ বাসর ঘরে বসে তোকে লিখতে বসেছি। মনে পড়ে তোর- আমি তখন নাইনে পড়ি। একদিন মেয়েদের কমন রুমের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ তুই সামনে এলি। আমার হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে চলে গেলি। আমি কিছুই বুঝলাম না।
ক্লাসে গিয়ে কাগজ খুলে দেখি- তুই লিখেছিস
ওগো আমার হৃদয়ের মণি। তোমায় ছাড়া আমার হৃদয় অচল। তোমার হৃদয় দিয়ে আমাকে বাঁচাও।
আমি, চিঠিটি পড়ে উত্তর দিতে পারতাম। দেইনি। কারণ তোর মনে কষ্ট দিতে চাইনি। এরও কারণ আছে। আসলে আমার হৃদয় চুরি করে নিয়েছে আঁখি। ও আমার শরীরজুড়ে লেপ্টে ছিল। মনজুড়ে জায়গা করে নিয়েছিল। আমরা স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই কথা তুই জেনে গিয়েছিলি। এরপর থেকে তুই উঠেপড়ে লাগলি আমাদের পেছনে। আঁখিকে নানা কথা বলতে থাকলি। ওকে যখন ফেরাতে ব্যর্থ হলি তখন ওর বাবা মাকে জানালি। এ নিয়ে হইচই সর্বত্র। স্কুলজুড়ে আলোচনা। হেড স্যার দুইজনকে ডাকালেন তার রুমে। আমরা সহজ সরলভাবে সেদিন বলেছিলাম, স্যার মেরে ফেলুন। তবুও আমরা একে অন্যকে ছাড়তে পারবো না। এরপর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন গেল। আমি চাকরি পেলাম। নতুন চাকরি। আঁখিও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে চাকরি নিলো। আজ আমাদের বাসর। মহামিলন। এ দিনে খলনায়িকা হিসেবে তোকে খুব মনে পড়ছে। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকিস।
ইতি তোর চাওয়া ব্যর্থ করে দেয়া এক হৃদয়হীন মানুষ