রাজধানীর মিরপুরে বড় ছেলের বাসা থেকে গৃহবন্দি বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ২০শে অক্টোবর পল্লবী থানার ওসিকে ওই বৃদ্ধা মাকে হাইকোর্টে হাজির করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের আদেশে বৃদ্ধা আছিয়া খাতুনকে হাজির না করায় বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। এর আগে ৪ সন্তানের জননী বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারকে ২ বছর ধরে আটকে রাখার অভিযোগে ওই নারীর বড় ছেলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন অপর ৩ সন্তান। মাকে দেখার অনুমতি ও উদ্ধারের নির্দেশনা চেয়ে এ আবেদন করেন রাফসান মোর্শেদ ও পারভীন আক্তারসহ ৩ জন। হাইকোর্ট গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরে বড় ছেলের বাসায় গৃহবন্দি বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারকে ২৬শে সেপ্টেম্বর বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে মাসহ হাজির হতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু গতকাল নির্ধারিত দিনে তারা হাজির হননি। এ কারণে রবিউল মোর্শেদ মিলনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন আদালত। মিরপুর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধা আছিয়া আক্তারের ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে রাফসান মোর্শেদের বাসা থেকে ২০১১ সালের ২৭শে মে তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলন। এরপর থেকে ৩ ভাই-বোনকে মায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দেননি রবিউল মোর্শেদ মিলন। মাকে দেখার চেষ্টা করলে তাদের গেট থেকে বের করে দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশের সহায়তায় ২ বছর আগে ২ বার দেখা করার সুযোগ পান। এরপর আর তাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। মাকে অন্যান্য সন্তানের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।