গত তিন বছর জেমি ডের কৌশলে খেলে এসেছে জাতীয় ফুটবল দল। এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে নতুন কোচের নতুন কৌশলে খেলবেন ফুটবলাররা। এরইমধ্যে তিন সেশনে নিজের পরিকল্পনায় ফুটবলারদের অনুশীলন করিয়েছেন অস্কার ব্রুজন। গতকাল মাঠের অনুশীলনে বিরতি দিয়ে হোটেলে কাগজে কলমে কাজ করেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। গেল চারটি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল লাল সবুজের দল। এবার পাঁচ দলের সাফে রাউন্ড রবিন লীগ হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ফাইনাল খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন অস্কার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো পর্যাপ্ত সময় পাইনি। তবে যতটুকু সময় পেয়েছি। তাতে খেলোয়াড়দের মাঝে ভালো খেলার একটা প্রতিজ্ঞা দেখেছি। তাদের এই প্রতিজ্ঞা ও মনোভাব আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। নতুন কোচ অস্কার ব্রুজন আক্রমণাত্মক ফুটবলের দিকে জোর দিচ্ছেন। কোচের এমন কৌশল ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সহ-সভাপতি বলেন, ‘অনুশীলন ভালোই মনে হয়েছে। নতুন কোচের অধীনে অনুশীলন হচ্ছে। কিছু নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে। খেলার টেকনিকে। সবকিছু দেখে আশাপ্রদ মনে হয়েছে।’ নতুন কোচের পজেটিভ চিন্তা ভাবনা মনে ধরেছে ডিফেন্ডার তপু বর্মণের। গতকাল মুঠোফোনে তপু বলেন, ‘আমি অস্কারের অধীনে ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। জাতীয় দলের জেমির অধীনে ছিলাম। দুই জনই ভালো। তবে দুই জনের চিন্তাধারা দুই রকমের। অস্কার আমাদের মাঠে সময় পজেটিভ থাকতে বলেন। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমাদের চেষ্টা থাকবে সাফে পজেটিভ ফুটবল খেলে ভালো কিছু করা।’
এদিকে আজ ২৭ সদস্য থেকে ২৩ জনকে বেছে নিবেন অস্কার। আগামীকাল মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রাজধানী ছাড়বে জাতীয় দল। ১ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের সাফ মিশন।