× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইভানার মৃত্যু /অবশেষে মামলা, আলামত জব্দের দাবি

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

ঢাকার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকা ইউনিভার্সিটি প্লেসমেন্ট সার্ভিসের উপ-ব্যবস্থাপক ইভানা লায়লা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ আলামত এখনো জব্দ করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় আলামত জব্দের দাবি জানিয়েছেন নিহতের 
স্বজনরা। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে শাহবাগ থানা।
মামলায় ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান ও বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার থানায় মামলা দায়েরের জন্য গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের (নেফ্রোলজিস্টের) পরামর্শপত্র অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইভানাকে গত এক বছর ঘুমের ওষুধ সেবন করানো হচ্ছিল। ইভানা পরবর্তীতে জানতে পেরে বন্ধুদেরকে বলেন, রুম্মান তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে ঘুমের ওষুধ সেবন করাতেন।
ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, প্রথমদিন গত শুক্রবার মামলা না নেয়ায় হতাশ হয়ে বাসায় ফিরলে শনিবার থানা থেকে ফোন দেয়।
পরবর্তীতে থানায় আসার পর পুলিশ মামলা নিয়েছে। এখন মামলার সঠিক এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আদালত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। দুই নাতির বিষয়ে ইভানার বাবা বলেন, ৬ বছর বয়সী ছোট ছেলে আয়মানতো বিশেষ শিশু। মায়ের চলে যাওয়ার বিষয়টি ওভাবে বোঝে না। ড্রইংরুমে ওর মায়ের একটি ছবি রয়েছে। একটু পরপর আয়মান ঘুরেফিরে এসে মায়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আবার চলে যায়। কখনো মায়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। বড় ছেলে আরমান (৮) রাতে বার বার ঘুম থেকে জেগে ওঠে। মাকে খোঁজে। মায়ের জন্য মন খারাপ করে বসে থাকে।
মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন বলেন, অনেক চেষ্টার পরে মামলা নিয়েছে পুলিশ। আমরা এখন দেখবো সঠিকভাবে তদন্ত হয় কি-না। তিনি বলেন, ইভানা যে ল্যাপটপটি ব্যবহার করতো সেটা এখন পর্যন্ত পুলিশ জব্দ করতে পারেনি। আমরা আশঙ্কা করছি ল্যাপটপে থাকা গুরুত্বপূর্ণ আলামত তার স্বামী রুম্মান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই দ্রুত ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় আলামত জব্দ করার দাবি জানান তিনি।
শনিবার রাতে মামলা করার সময় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে দুটো বিষয় আমরা দেখবো, সঠিকভাবে মামলার তদন্ত হচ্ছে কি-না। এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা। যেটা এখনো আসামির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইভানার শিক্ষক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসিফ বিন আনোয়ার বলেন, মামলা নিয়েছে এ ব্যাপারে স্বস্তি পাচ্ছি, এই ভেবে অবশেষে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে একটি তদন্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে আমাদের পক্ষ থেকে একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আগের দিন ফিরে গেলেও পরদিন মামলা করা হয়েছে। মামলায় বাদীপক্ষ নিহতের স্বামীসহ দুইজনকে আসামি করেছেন। এখন তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রথমদিন মামলা না নেয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে প্রথমেই একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এছাড়া বাদী পক্ষের অভিযোগে কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করতে সময় লেগেছে। এখন তদন্তের প্রয়োজনে যা জব্দ করা প্রয়োজন তা জব্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর