দলের অবস্থা যা-ই থাকুক এমিরেটসে হওয়া উত্তর লন্ডন ডার্বিতে সব সময় ফেভারিট আর্সেনাল। কাগজে-কলমেএগিয়ে থাকলেও আরো একবার ঘরের মাঠে টটেনহ্যামকে উড়িয়ে দিলো গানাররা। রোববার রাতে স্পার্সদের ৩-১ গোল হারিয়েছে আর্সেনাল।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাঠে বসে ডার্বি জয়ের স্বাদ পেলো গানার সমর্থকরা। করোনা মহামারিতে গত মার্চে এমিরেটসে ডার্বি হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। রোববার রাতে আর্সেনাল সমর্থকরা এসেছিল ডার্বির উত্তাপ গায়ে মাখতে। হাসি মুখেই বাড়ি ফিরেছে তারা। ঘরের মাঠে টানা ২৯ ডার্বিতে অপরাজিত থাকলো আর্সেনাল।
মৌসুমের শুরুটা উত্তর লন্ডনের ক্লাব দুটির শুরু হয়েছিল ভিন্নভাবে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে প্রথম তিন ম্যাচে হারে আর্সেনাল।
চাকরি হারানোর শেষ ধাপে ছিলেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ৩ লীগ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে গানাররা। নতুন কোচ নুনো সান্তোর অধীনে টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণভাবে প্রিমিয়ার লীগের নতুন মৌসুম শুরু করে টটেনহ্যাম। এরপর যেনো নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে স্পার্স। আর্সেনালের কাছে হারটি লীগে টানা তৃতীয়।
প্রথমার্ধে তিন গোল করে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলে আর্সেনাল। দ্বাদশ মিনিটে আর্সেনালকে লিড এনে দেন এমিল স্মিথ। ২৭তম মিনিটে এমিল স্মিথের কাটব্যাকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। ৬ মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার বুকায়ো সাকা।
টটেনহ্যামের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের উপর ছিল দলকে জয়ের পথে ফেরানোর দায়িত্ব। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখনো করতে পারেননি কোনো গোল। আর্সেনালের বিপক্ষে দুটি ভালো সুযোগ পেয়েও সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ৭৯তম মিনিটে টটেনহ্যামের ব্যবধান কমানো গোলটি করে দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সন হিউং মিন।