ছয় মাস পর গত মাসে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ফিরেছিলেন মঈন আলী। ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৩ টেস্ট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সিরিজ ইংল্যান্ডের। সেই দলে মঈনের থাকা এক প্রকার চূড়ান্তই ছিল। একরকম হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে মঈন জানিয়েছেন, টানা পরিবারের বাইরে থেকে মানসিক ধকল আর নিতে পারছেন না। গত জুন থেকে বায়ো-বাবলের মধ্যে রয়েছেন মঈন। তার আগেও খুব কম সময় পেয়েছেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে মঈনের।
এরপরই খেলবেন টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপ। মানসিকভাবে কেমন অবস্থায় ছিলেন সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের কথা বলেছেন মঈন। তিনি বলেন, ‘হেডিংলিতে আমরা দারুণ জয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সেই ম্যাচে কোনোভাবেই মনযোগী হতে পারছিলাম না। এর আগেও আমার বাজে ম্যাচ গেছে, বাজে শট খেলেছি। কিন্তু কখনো এরকম অনুভূতি হয়নি। এটি এমন নয় যে আমি পারফর্ম করতে চাইনি।’
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মঈনের কণ্ঠে ঝরেছে তৃপ্তি। ৬৮ টেস্টের ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্ট এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেছি কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং আমি মনে করি যথেষ্ট হয়েছে। আমি যেভাবে করেছি তাতে আমি খুশি এবং সন্তুষ্ট। আমি ছেলেদের সঙ্গে মাঠে নামা মিস করবো। বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে খেলাটা মিস করবো। যেখানে নার্ভের পরীক্ষা দিতে হতো এবং আমি জানতাম যে নিজের সেরা ডেলিভারি দিয়ে বিশ্বের যে কাউকে আউট করতে পারবো।’
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দিন মঈন সব কৃতিত্ব দিয়েছেন নিজের বাবা-মাকে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমার কাছে এক নম্বর। তাদের ছাড়া আমার এই যাত্রাটা সম্ভব হতো না। আমি জানি মনে মনে তারা আমার জন্য গর্ব করে। তারা যে ধরনের ত্যাগ আমার জন্য করেছে, সেটা অসাধারণ। আমি যতগুলো ম্যাচ খেলেছি সব তাদের জন্য।’
টেস্টে ইংলিশ স্পিনারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মঈন। বল হাতে ৩৬.৬৬ গড়ে মঈনের ঝুলিতে আছে ১৯৫ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট ১ বার। ২৮.২৯ গড়ে ২ হাজার ৯১৪ রান আছে মঈনের। করেছেন ৫ সেঞ্চুরি আর ১৪ ফিফটি।