ভারতের নাগরিক হয়েও সরকারি চাকরি করছেন বাংলাদেশে-এমন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। তবে মানবজমিনের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তুষার কান্তি সাহা। তিনি বলেন, এটা অসম্ভব বিষয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা। কে বা কারা আমার ওপর বিরাগভাজন হয়ে এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। গত রোববার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিলেটে থাকলেও প্রায়ই তিনি (প্রকৌশলী) অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া আসা করেন। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতিরও অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। সেই তদন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষী করা হয়নি, আবার ছাড়ও দেয়া হয়নি। দায়সারাভাবে তদন্ত হওয়ায় প্রতিবেদনটি আমলে নেয়নি সংসদীয় কমিটি। এজন্য সচিবকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কাউকে দিয়ে তদন্ত করার কথা বলেছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সচিবকে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একাব্বর হোসেন বলেন, অভিযোগ উঠেছে। কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে বসবাস করেন- এসব বিষয় তদন্ত করে বলা যাবে। আমরা সঠিক তথ্য জানতেই আবারও তদন্তের কথা বলেছি। কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহ উদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।