× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনুমোদনহীন ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

দেশে যেসব সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই ক্ষুদ্র ঋণের ব্যাবসা করছে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
হাইকোর্ট এক মন্তব্য করে বলেন, সমাজের কী কী অসঙ্গতি হয় সেটা তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। তারা একটি ইস্যু তুলে ধরে বলেই আমরা জানতে পারি। সমাজের কোথায় কোথায় কতো ধরনের ন্যায়-অন্যায় হচ্ছে পত্রিকায় সেটা তুলে ধরা হয় বলেই আমরা জানতে পারি। তবে হাইকোর্ট এও বলেন, পত্রিকায় একটি তথ্য দিয়েছে। পত্রিকা একটি আলো দেখিয়েছে, একটি পথ দেখিয়েছে।
এ ধরনের ইস্যুতে কম হলেও তিন-চার মাস কাজ করা উচিত। গবেষণা করে প্রোপারলি আবেদনটি করবেন। হুট করে নয়, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আবেদন করবেন। যেন আমরা আদেশ দিতে পারি।
আদেশে বলা হয়, অনুমোদনহীন ক্ষুদ্র ঋণের কারবার নিয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি বিশেষ কমিটি গঠন এবং আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, তদন্তের সময় যদি অননুমোদিত বা লাইসেন্স ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ কারবারী সমবায়, বা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।একইসঙ্গে, এছাড়া আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সুদ কারবারীদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৭ই সেপ্টেম্বর সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এতে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রথা নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়।  আদালত আবেদনে সংশোধন এনে রুলসহ আদেশ দেয়। লাইসেন্স এবং অনুমোদন ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণকারবারী বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে বিবাদীদের নীরবতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অদিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর