রোববার বহু প্রতীক্ষিত ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। কলকাতার সতেরো, লর্ড সিনহা রোডের স্ট্রং রুমে ইভিএমগুলি সযতনে রাখা রয়েছে। রোববার সকাল থেকে সাখাওয়া মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে শুরু হবে ভোট গণনা। তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট বিজয় উৎসব করার অপেক্ষায়। মুখ্যমন্ত্রী ও ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কোভিড বিধি মানার। ভোটের দিনের মতোই গণনার দিনেও কলকাতা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে গোটা ভবানীপুর কেন্দ্রে। বহিরাগতরা যাতে অঞ্চলে ঢুকতে না পারে তার জন্য নাকা চেকিং রাখা হচ্ছে শনিবার রাত থেকে। সকাল দশটা থেকেই ট্রেন্ড এবং বারোটার মধ্যে এই ভোটের ভাগ্য জানা যাবে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার আধিকারিকরা। তবে, চূড়ান্ত ঘোষণা হতে হতে বিকেল গড়িয়ে যাবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ এই কেন্দ্রে পঁচিশ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছিলেন আটান্ন শতাংশ। এবার বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়াল যদি ভোটের এই হার ধরে রাখতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিজেপির ভোট ব্যাংক এটিই। কিন্তু যদি বিজেপি প্রার্থী পনেরো - ষোলো শতাংশে নেমে আসেন তাহলে বুঝতে হবে গত বিধানসভা ভোটে বৈভব ও আইটিসেল-এর নিরন্তর প্রচারে বিজেপি গলিয়াথ হয়েছিল, আসলে বঙ্গ বিজেপি লিলিপুটই। মমতা বন্দোপাধ্যায় ষাট - পঁয়ষট্টি শতাংশ ভোট পেলে ধরে নিতে হবে যে, এটাই তৃণমূলের সাধারণ সমর্থন। তার বেশি, অর্থাৎ মমতা পঁচাত্তর - আশি শতাংশ ভোট পেলে বুঝতে হবে তার ব্যক্তিগত কারিশমা যুক্ত হয়েছে এর সঙ্গে। বিজেপির কম ভোট পাওয়া মানেই বাম ও কংগ্রেসের বঙ্গ রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়া। তবে, ওইটুকুই। তৃণমূল সার্বিক প্রাধান্য পেলেই এটা বুঝতে হবে যে, তার জাতীয় রাজনীতিতে ঝাঁপ দেয়ার সময় হয়েছে।