শিক্ষাঙ্গন

সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বশেমুরবিপ্রবির সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

২০২১-১০-০৫

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলছে আগামী ৭ই অক্টোবর৷ ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর তুলনায় হলের আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পেছনে চরপাথালিয়ায়।
চরপাথালিয়ার একটি খাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চরপাথালিয়াকে বিভক্ত করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য একটি কাঠের সাঁকো ছিলো। যা করোনাকালীন ভেঙে দেয়া হয়৷
বর্তমানে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বাস এই চরপাথালিয়ায়। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য এখন একমাত্র সাঁকোটি না থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের চরপাথালিয়া থেকে ঘোনাপাড়া হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হয়৷ যা অনেক ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ।
ফ্যাইনান্স এন্ড ব্যাংকিং ডির্পাটমেন্ট এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে চরপাথালিয়া এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য সাঁকোটি পূর্বে ছিলো। কিন্তু করোনাকালীন সাঁকোটি ভেঙে দেয়া হয়৷ সাঁকোটি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে সময় লাগে ১ থেকে ২ মিনিট। কিন্তু বর্তমানে সাঁকো না থাকার কারণে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয় যাতায়াত করতে হচ্ছে৷
এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিল্টন হোসাইন বলেন, এ এলাকায় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী থাকে। যাদের প্রায় অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। যার জন্য টিউশন এ যেতে হলেও অন্তত ভার্সিটি পর্যন্ত যাওয়া প্রয়োজন হয়। সাঁকো না থাকার ফলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে ও টাকা খরচ করে ভার্সিটিতে যেতে হয়।

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই ভিসি বাংলোর পেছনে চরপাথালিয়ায় একসময় প্রায় দুই শত শিক্ষার্থী থাকতো। শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বর্তমানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বসবাস এই চরপাথালিয়া এলাকায়৷ করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে সাঁকোটি ভেঙে দেয়া হয়৷ ভেঙে দেয়ার পরপর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী চরপাথালিয়ায় অবস্থান করছে। সাঁকোটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে সময় লাগে ৫ মিনিট। কিন্তু বর্তমানে সাঁকো না থাকার ফলে মহাসড়কে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করে তারপর ঘোনাপাড়া হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়৷

তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য স্যারের কাছে সাঁকোটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। উনি আন্তরিকতার সাথে বলেছিলেন সাঁকো তৈরি করে দিবেন। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও সাঁকোটি তৈরি হয়নি৷

এর আগে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ কিউ এম মাহবুব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাঁকো দেয়া হবে। কিন্তু সেটা দিতে হলে আমাদের একটা জায়গা ঠিক করতে হবে। কারণ এর আগে অনেক চুরির অভিযোগ এসেছে। তাই সেখানে ২৪ ঘন্টা একজন সিকিউরিটি গার্ড থাকা লাগবে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status