সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। এই প্রবাদটি এখন ভারতে অচল হয়ে গেছে। এখন নয়া প্রবাদ- খুনও হবে, খুনি হবে বিষধর সাপ, কাকপক্ষী মালুমও পাবে না। মন্তব্যটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতি এম ভি রামান্না, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও হিনা কোহলির একটি বেঞ্চ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে জানাচ্ছেন যে ভারতে, বিশেষ করে রাজস্থানে ঘরে বিষধর সাপ ঢুকিয়ে দিয়ে খুন করার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। রাজস্থানের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র কৃষ্ণকুমার সম্প্রতি এক মহিলার বাড়িতে একটি বিষধর সাপ ছেড়ে দেয়। সেই সাপের কামড়ে ওই মহিলার মৃত্যু ঘটে। বিষধর সাপটি কৃষ্ণকুমার নগদ দশ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিল এক সাপুড়ের কাছ থেকে।
গৃহবধু আল্পনার মামলাটি এর থেকে আলাদা কিছু নয়। আল্পনার শাশুড়ি সুবোধ দেবী ছেলের সঙ্গে আল্পনার বিয়ের পর আবিষ্কার করেন আল্পনা সারাদিন ফোনে মশগুল থাকে। আল্পনাকে তিনি এই নিয়ে খোঁচা দেওয়া শুরু করতেই আল্পনা ও তার প্রেমিক মনীশ ঘরে বিষধর সাপ ঢুকিয়ে হত্যা করে সুবোধ দেবীকে। সুপ্রিম কোর্ট আরও কিছু নিদর্শনের কথা তুলে ধরে বলে, এ এক মারাত্মক ট্রেন্ড। অবিলম্বে এটা বন্ধ হওয়া দরকার।