কলকাতায় মহাষষ্ঠীতে বিকেল থেকে মানুষের ঢল। সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, বাদামতলার মণ্ডপে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। ষষ্ঠীর বিকেল দেখেই প্রমাদ গুনেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, অবধারিত ভাবে কোভিড সংক্রমণ বাড়বে। অক্টোবর এর শেষদিকেই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। এতটাই বাড়বে যে হাসপাতালে জায়গা দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই, সোমবার বিকাল থেকেই কোভিড ওয়ার্ডগুলি তৈরি রাখছেন তাঁরা। বেড এর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।
আর এন টেগোর হাসপাতালে কোভিড বেড এর সংখ্যা আটচল্লিশ। অক্টোবর এর তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। মেডিকা, আমরি, ফর্টিস, সি এম আর আই-সব হাসপাতালই একই পথে। সি এম আর আই এর পালমোনোলজিস্ট ডা. রাজা ধর মনে করছেন, যে করোনা অনেকটাই সংকুচিত হয়েছিল তা আবার বড় আকারে ফিরে আসছে। মৃত্যুর ঘটনাও বাড়বে বলে তাঁর অনুমান। ভ্যাকসিন হয়ে গেছে বলে যারা নিশ্চিন্ত আছেন চিকিৎসকরা তাদেরও সতর্ক থাকতে বলছেন। তারা বলছেন, ভাইরাস এখনও আছে। তাই, আরও সতর্কতার অবকাশ ছিল। কলকাতার দোকানপাট, বার রেস্তোরাঁ মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, লোক দেখে মনে হচ্ছে করোনা বুঝি দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু, তথ্য বলছে, করোনা আছে এখনও বহাল তবিয়তেই। পুজোয় মানুষের এই ঢল তাই বিপজ্জনক শুধু নয়, অতিমারির মত অতি বিপজ্জনক।