× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভবঘুরের ছদ্মবেশ: শিশুরাই ছিল সিরিয়াল রেপিস্ট নাঈমের টার্গেট

দেশ বিদেশ

বরগুনা প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

বরগুনায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় গ্রেপ্তার নাঈমুর রহমান ওরফে নাঈম একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। বরগুনা ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুরাই রেপিস্ট নাঈমের টার্গেট ছিল। দেশের অনেক জেলায় অসহায়ত্বের কথা বলে ভবঘুরে হয়ে আশ্রয় নিয়ে চুরি ও ধর্ষণ করে বেড়াতেন তিনি। নাঈমের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ৪ বছর আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তার স্বজনরা। নাঈম গত ৯ই অক্টোবর বিকালে বরগুনায় ৯ বছরের এক শিশুকে পথ দেখিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে মুখ চেপে তুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সে সময় শিশুটির চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় এবং নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রেপিস্ট নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসেন বরগুনা সদর থানায়। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম নারায়ণগঞ্জে ২৩শে সেপ্টেম্বর এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম জানিয়েছে, দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় ভবঘুরে সেজে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে বিভিন্ন পরিবারে প্রথমে আশ্রয় নিতো কাজের লোক হিসেবে। এরপর আশেপাশে থাকা শিশুদের কখনো আইসক্রিম আবার কখনো চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে নিজের আশ্রয়স্থল অথবা নির্জন কোথাও নিয়ে ধর্ষণ করতো নাঈম। মূলত নাঈম ধর্ষণের জন্য টার্গেট করতো ছোটো শিশুদের। দুই-এক দিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জের আদালতে নাঈমকে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন করবো আমরা।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাঈম সিরিয়াল রেপিস্ট বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারাও। এছাড়া, নানান অপরাধের তথ্য দিয়েছে নাঈম। নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার জব্বার মাঝির ছেলে। এলাকায় নাঈম চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে পরিচিত।
নাঈমের বড় ভাই মো. রুবেল মাঝি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অপরাধের কারণে ৪ বছর আগেই পরিবার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় নাঈমের সঙ্গে।
নাঈমের প্রতিবেশী দুলাল গাজী বলেন, একাধিকবার ইভটিজিং, ছাগল চুরি, মোবইল চুরিসহ নানান অপরাধ করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছিল নাঈম।
আরেক প্রতিবেশী আউয়াল মিয়া নামে এক মাদ্রাসা কর্মচারী বলেন, সব সময় মেয়েদের নেশা ছিল নাঈমের। এবার গ্রেপ্তার হয়েছে নাঈম। সর্বোচ্চ শাস্তি হলে এলাকার মেয়েরা শান্তিতে থাকতে পারতো।
বরগুনা সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, নাঈমের সব অপরাধের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে শিগগিরই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর