'সব আবহাওয়ায় ভালো বন্ধু' চীনকে রক্ষা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ইসলামাবাদ উইঘুর ইস্যু নিয়ে চীনের সঙ্গে কথা বলেছে এবং ব্যাখ্যা চেয়েছে। কিন্তু কী ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং চীনের পক্ষ থেকে কী জবাব দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি পাক প্রধানমন্ত্রী।
গত সোমবার সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, 'চীনের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলব, কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে নয়। কারণ এটাই তাদের আলোচনার ধরন ও সংস্কৃতি।' এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন।
উইঘুরদের প্রতি চীনা প্রশাসনের আচরণের বিষয়ে পাকিস্তানের নীরবতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইমরান খান বলেন, মানবাধিকারের বিষয়ে শুধু চীনকে এই ধরনের 'সিলেক্টিভ' অভিযোগ করাকে তিনি অনৈতিক বলে মনে করেন। সব উত্থান-পতনে চীন পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করা ইমরান খান আরও বলেন, 'বেইজিং-ই ইসলামাবাদকে সংকটের মুহূর্তে সাহায্য করেছিল, যখন আমাদের পেট চলছিল না।'
উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমান, ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ডিটেনশন ক্যাম্পে অন্তত ২০ লাখ উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বন্দী করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। তবে, প্রদেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরের মতই অস্বীকার করে আসছে চীন।
বেইজিংয়ের দাবি, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলা করতে শিবিরগুলোতে পুনঃশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা।
সূত্র: এএনআই