× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিএনপি’র শূন্য পদে আসছেন কারা?

প্রথম পাতা

শাহনেওয়াজ বাবলু
১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

স্থায়ী কমিটিসহ কমপক্ষে ৭০টি শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। চলতি বছরের শেষের দিকে শূন্য পদগুলো পূরণ হতে পারে। ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হয় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। বর্তমানে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ১৯ পদের শূন্য রয়েছে পাঁচটি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ১১, উপদেষ্টা ১৩, সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক ৮, পদোন্নতি ও পদত্যাগের কারণে ৯ সহ মোট ৬৬টি পদ শূন্য।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাউন্সিলের উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
রাজনৈতিক প্রতিকূল অবস্থা এবং করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত কাউন্সিলের কথা ভাবছে না দলটি। তাই শূন্য পদগুলো পূরণে কাজ করছে বিএনপি’র হাইকমান্ড।

বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা বলছেন, দলের স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ পূরণের বিষয়ে এরই মধ্যে হাইকমান্ড কাজ শুরু করেছে। শিগগির এ পদ পূরণ করা হবে। দু’র্দিনে যারা বিএনপি’র বিশেষ করে জিয়া পরিবারের পাশে ছিলেন এবং নানা প্রতিকূল পরিবেশেও দল ছাড়েননি এমন পরীক্ষিত নেতার মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ করা হবে।

ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন। তারা হলেন- তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্‌, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এ ছাড়া রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। যদিও তার পদত্যাগপত্র বিএনপি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়নি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের জুনে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হয়। এদিকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা ও আইনি জটিলতাসহ নানা কারণে দলে সক্রিয় নন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই ভার্চ্যুয়ালি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। অসুস্থ আছেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বার্ধক্যজনিত কারণে বৈঠকে নিয়মিত নন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। আর মামলা জটিলতার কারণে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

আলোচনায় যারা: সবদিক বিবেচনায় খালি পদগুলোতে বেশি আলোচনায় রয়েছেন- বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মো. শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

এ ব্যাপারে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, শূন্য পদগুলো পূরণে দলের মধ্যে আলোচনা আছে। শূন্য পদ থাকায় দলে অনেক প্রভাব পড়ছে জানিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, এর কারণে নেতাকর্মীরা ডিমোরালাইজড হয়ে যাচ্ছেন। দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা। জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও তারা যদি দলে কোনো স্বীকৃতি না পায় তাহলে তো নেতাকর্মীরা কাজে উৎসাহ পাবে না। বিএনপি’র শূন্য পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয়া উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর