লাদাখে দুই পক্ষের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ভারত সীমান্তের কাছাকাছি ট্যাঙ্ক স্থাপন করেছে চীন। পিপলস লিবারেশন আর্মির জিনজিয়াং সামরিক শাখা কারাকোরাম পর্বতমালায় ৫০০০ মিটার উচ্চতায় ভারতীয় সৈন্যদের মুখোমুখি হয়েছে। অতি উচ্চতায় তারা ট্যাঙ্ক যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
গত রোববার ভারতীয় ও চীনা কমান্ডারদের মধ্যে সমঝোতা আলাপ ব্যর্থ হওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত অঞ্চলগুলোতে একে অপরকে দোষারোপ করছে উভয়পক্ষ।
সিসিটিভির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েস্টার্ন সিচুয়ানে গ্রেনেড লাঞ্চারের মাধ্যমে সরাসরি পরীক্ষামূলকভাবে গোলাবারুদ নিক্ষেপের আয়োজন করেছে পিএলএ। উভয়পক্ষের সম্মুখসারির সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
পিএলএর মুখপাত্র লং শাওহুয়া বলেছেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতির শীতলতা ও উত্তেজনা হ্রাস করতে চীনের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারত অযৌক্তিক এবং অবাস্তব দাবি করছে।’ এদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, এলএসিতে উত্তেজনা ও পরিস্থিতি খারাপের জন্য চীনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন ও একতরফা চেষ্টা দায়ী।
কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হয়েছিল। এর আগে, এলএসি বরাবর একাধিক স্থানে সংঘাত শুরু হলে তা হাজারো কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এ ছাড়া ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় কমপক্ষে দুই ডজন সেনা নিহত হলে সামরিক সংঘর্ষ তুঙ্গে ওঠে। এই ম্যারাথন আলোচনার মধ্যে, উভয়পক্ষ সীমান্তে অবকাঠামো বাড়িয়েছে এবং অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে।
সর্বশেষ ট্যাংকগুলো কখন মহড়া চালিয়েছে তা সিসিটিভিতে বলা না হলেও পিএলএ কোম্পানিগুলো গুলি চালানোর অনুশীলন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই মহড়াটি মালভূমিতে চরম ঠান্ডা আবহাওয়ায় মধ্যে যুদ্ধাস্ত্রগুলোর ব্যবহারকে তুলে ধরে এবং সৈন্যদের যুদ্ধ সক্ষমতাকে কার্যকরভাবে উন্নত করে।'
সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট